সাভার (ঢাকা): সাভারে একটি কাপড়ের দোকানে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ নাহিদ কাওছার নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম।
এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গত ১৫ এপ্রিল (সোমবার) রাত সোয়া ৮টার দিকে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকার আদ্রিতা ফেব্রিক্স অ্যান্ড টেইলার্স নামে একটি দোকানে এসি বিস্ফোরণ হয়ে নাহিদসহ তিনজন দগ্ধ হন এবং দোকানের কাচ (থাই গ্লাস) ভেঙে আহত হন পাঁচজন।
নিহত নাহিদ সাভারের গেন্ডা তালবাগ এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি আদ্রিতা ফেব্রিক্স অ্যান্ড টেইলার্স মালিক মো. ইউসুফ (৪৫) এর বন্ধু বলে জানা গেছে। অন্যান্য দগ্ধরা হলেন- আদ্রিতা ফেব্রিক্স অ্যান্ড টেইলার্স মালিক মো. ইউসুফ ও মালিহা নামে এক নারী ক্রেতা।
এ ঘটনায় দোকানের কাচ ভেঙে আহত হয়েছিলেন মো. আমজাদ (৬৭), বাবুলসহ (৪৫) অন্তত পাঁচজন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, নাহিদের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গতকাল তার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নেওয়া হয়। রাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ইউসুফ নামে আরও একজনের চিকিৎসা চলছে। তার শরীরের উন্নতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল সাভারের গেন্ডা এলাকায় রাত সোয়া ৮টার দিকে আদ্রিতা ফেব্রিক্স অ্যান্ড টেইলার্স নামে একটি দোকানে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় নাহিদসহ দগ্ধ হন অন্তত তিনজন এবং দোকানের কাচ (থাই গ্লাস) ভেঙে আহত হন পাঁচজন। দগ্ধ তিনজনের মধ্যে নাহিদ ১৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন এবং গতকাল দিনগত রাতে মারা গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
এফআর