ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মে দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
মে দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: ‘শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ; স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশে মহান মে দিবস পালিত হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

মে দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কর্মসূচি তুলে ধরেন।

 

এ সময় শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হেসেন, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক ঘটনা সমৃদ্ধ মহান মে দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যাপন উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ১ মে (বুধবার) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও কেন্দ্রীয় তহবিল হতে দুঃস্থ শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হবে। আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির ব্যবস্থাপনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।  

মহান মে দিবসের অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরসংস্থার মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলোকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মহান মে দিবসে বিভিন্ন সড়কদ্বীপ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড দিয়ে সাজানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৮৮৬ সালের এ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমের মর্যাদা, শ্রমের মূল্য এবং দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবির আন্দোলনে শ্রমিকরা যে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন তাদের সে আত্মত্যাগের সম্মানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দিবসটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শ্রমিক অধিকারের জন্য কাজ করেছেন। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পহেলা মে’কে রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন এবং এ দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার একটি শ্রম বান্ধব সরকার, শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।  

এ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দেবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এবারও একটি তথ্যবহুল এবং দৃষ্টিনন্দন স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরার জন্য ক্ষুদে বার্তাও পাঠানো হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
এমআইএই/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।