ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দ্রুত সময়ের মধ্যে তথ্য প্রদান করুক’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৪
‘সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দ্রুত সময়ের মধ্যে তথ্য প্রদান করুক’ কথা বলছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। 

ঢাকা: আমরা চাই সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দ্রুত সময়ের মধ্যে তথ্য প্রদান করুক। তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের জড়তা বা মানসিক প্রতিবন্ধকতা না থাকুক।

আর যারা তথ্য চাইবেন এই আইনটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন। এই আইনের যেন অপব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি না হয় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।  

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর দারুসসালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট সভা কক্ষে ‘তথ্য অধিকার আইন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, অর্থনৈতিক সাংবাদিকতায় কিছু হাইলি টেকনিক্যাল ইস্যু থাকে। সমাজে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার থাকে, কোন একটি সিদ্ধান্ত স্টেটের সব স্টেকহোল্ডারদের খুশি করে না। আপনি জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবেন। সেক্ষেত্রে অনেকে সাংঘর্ষিক স্টেকহোল্ডার থাকেন, তারা অখুশি হয়ে যান। তারা বিভিন্নভাবে অপপ্রচারের ও বিভ্রান্তের সুযোগ নেয়। আমরা চেষ্টা করছি টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার। কিছু না কিছু স্টেকহোল্ডার থাকে তারা সব সময় সাংঘর্ষিক। তারা খুশি হতে পারে না। সেক্ষেত্রে পলিসি মেকাররা সিদ্ধান্ত নেয়, বৃহত্তর স্বার্থে কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ক্ষুদ্র স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ধরনের ক্ষুদ্র গোষ্ঠী (আসলে প্রভাবশালী), তারা তখন বৃহত্তর স্বার্থকে খাটো করে ফেলে। বিভিন্ন ডমিনেটিং ইস্যুর ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায়কে বিভ্রান্ত করে। জানা বোঝার অভাব বা টেকনিক্যাল ইস্যুতে বিভ্রান্ত তৈরি করে। সরকার একটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, এটা কি না বুঝে নিচ্ছে? বুঝেশুনে হিসাব-নিকাশ করেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই ক্ষেত্রে গণমাধ্যম একটি ভূমিকা পালন করতে পারে, সঠিক তথ্য তুলে এনে সঠিক চিত্র দেখাতে পারে। হাইলি টেকনিক্যাল ইস্যুতে জানা-বোঝার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারেরও নেওয়ার প্রয়োজন আছে। আমরা এক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি রিসোর্স ব্যক্তিদের নিয়ে আসতে পারি। এমন কি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও পলিসি মেকারদের অনেকে আসতে পারেন। এই ধরনের যোগাযোগ বা ইন্টারেকশন যত হবে, ভুল বুঝাবুঝির জায়গাগুলো তত ছোট হয়ে আসবে। আরও বেশি সঠিক তথ্য আমাদের সমাজে প্রবাহিত হবে।

কর্মশালায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক ডিপুটি গভর্নর খুরশেদ আলম, তথ্য কমিশন প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আব্দুল মালেক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৪
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।