পাথরঘাটা (বরগুনা): বাবা রিকশা চালক, ছেলেও দেশে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে সংসারের সুখের জন্য সৌদি আরব পাড়ি জমান।
অপর এক প্রবাসী সুমন, বাবা শাহ আলম মাইকে প্রচার করে সংসার চালাতেন। সংসারের সুখের জন্য ছেলে সুমনকে বিদেশে পাঠান আ. জলিল চৌধুরীর মাধ্যমে। কিন্তু বিদেশ নিয়ে কাজ না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জলিল চৌধুরীর মাধ্যমে পাঠানো সৌদিতে থাকা ৬ প্রবাসীর অভিভাবক।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১ টায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন আকুতি জানান। এ সময় সদ্য ফিরে আসা মিজানুর রহমানসহ ৬ পরিবারের অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। এমন অবস্থায় ফোরকানের বাবা আ. কাদের, সুমনের বাবা শাহ আলম, ইমরানের মা শাহিনুর বেগম, মামুনের বাবা আবুল হোসেন প্রেসক্লাবে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কণ্ঠে লিখিত বক্তব্যে জানান, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মামুন মিয়া, মো.সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিদেশে পাঠানো হয় পাথরঘাটা পৌরসভার বাসিন্দা আ. জলিল চৌধুরীর মাধ্যমে। কিন্তু অঙ্গীকার অনুযায়ী ঠিক মতো কাজ না দেয়ায় সৌদিতে কষ্টে দিন যাপন করছে তাদের সন্তানেরা। ঠিক মতো খেতেও পারছে না। অনেক ধারদেনা এবং জমি বিক্রি করে টাকা দিয়ে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক ওখানে নিজেরাই খেতে পারছে না। সন্তানদের ফেরত পেতে চান তারা।
ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ বাবায় বড় কষ্টে আছে।
সৌদি থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়ার কারণে ওই দেশের পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে এর দায়ভার তো আর আমি নেব না।
তিনি আরও বলেন, তাদের ছাড়াও অনেক মানুষকে আমি বিদেশে পাঠিয়েছি তারা তো ঠিকঠাক মতো কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, সকল কাগজপত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
এমএম