ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সন্তান নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া মায়েদের একজন পেল জিপিএ ৫, অন্যজন ৪.৬১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
সন্তান নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া মায়েদের একজন পেল জিপিএ ৫, অন্যজন ৪.৬১

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ১৬ দিন ও দুই মাসের সন্তান নিয়ে এসএসসি (ভোকেশনাল) ২০২৪ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন শান্তনা আক্তার স্মৃতি ও মহসিনা আক্তার নামের দুই মা।  

ফলাফলে মহসিনা আক্তার জিপিএ ৫ এবং শান্তনা আক্তার স্মৃতি ৪.৬১ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

তাদের এ ফলাফলে দারুণ খুশি দুই পরিবারের সদস্যসহ শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

রোববার (১২ মে) সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেলে এ খবর পাওয়া যায়। নবজাতক শিশুকে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এমন সাফল্যমণ্ডিত ফলাফল করায় তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘নবজাতককে বাইরে রেখে পরীক্ষার হলে মা' শিরোনামে বাংলানিউজসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয় এমন একটি প্রতিবেদন।

২ মাস বয়সী শিশুর মা মহসিনা আক্তার আখলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি উপজেলার শিবপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা মণ্ডলের মেয়ে এবং ১৬ দিন বয়সী শিশুটির মা শান্তনা আক্তার স্মৃতি ক্ষেতলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি কালাই উপজেলার চক গাদুকা গ্রামের সানাউল ইসলামের মেয়ে।

শান্তনা আক্তার স্মৃতি বলেন, পরীক্ষার ১৬ দিন আগে আমার বাচ্চা জন্মগ্রহণ করেছে। বাচ্চাকে কেন্দ্রের পাশে আমার বাবার বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা দিয়েছিলাম। এমন ফলাফল করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আমার পরিবারও অনেক খুশি। আমার পড়াশোনা চলমান রাখবো ইনশাআল্লাহ।

অপরদিকে মহসিনা আক্তার বলেন, ছোট শিশুকে নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া প্রায় অসম্ভব। নবজাতক সন্তানের চিন্তায় আমি পরীক্ষায় মন দিতে পারি না। এরপরও যা ফলাফল হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো হয়েছে।

কেন্দ্র সচিব ও ক্ষেতলাল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এমিলি আক্তার বানু বলেন, আমার কেন্দ্রে শান্তনা আক্তার স্মৃতি ও মহসিনা আক্তার নামের দুই পরীক্ষার্থী দুই শিশু সন্তান নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের একজন জিপিএ ৫ পেয়েছে, আর অন্যজন ৪.৮১। এ রকম প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে এমন ফলাফল সত্যিই প্রশংসনীয়।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বাবুল কুমার মণ্ডল বলেন, কেন্দ্র সচিবের মাধ্যমে ঘটনাটি আমি শুনেছিলাম। ১৬ দিন ও দুই মাসের দুই শিশুকে রেখেও দুইজন মেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের ভালো ফলাফলে আমরা খুশি।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।