ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই’

রাজশাহী: রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বাদশা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট মানুষ প্রয়োজন, স্মার্ট শিক্ষার্থী প্রয়োজন।

এক্ষেত্রে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের জ্ঞানার্জন ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অডিটোরিয়ামে এ অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

বাদশা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেন তখন উন্নয়নবিরোধী শক্তি কটূক্তি করে বলতো ডিজিটাল আলু-বেগুনের দাম কত? এখন আর তাদের মুখে কথা বের হয় না। কারণ তারাও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। আর স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক মানে এ নয় যে টাইটুই লাগিয়ে, হাফ প্যান্ট পরা স্মার্ট। আজ আমাদের সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন। কৃষকরাও মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। আজ ঘরে ঘরে ডিজিটাল বিভিন্ন ডিভাইস। সরকারি প্রায় সব সেবা আজ ডিজিটাল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটাল ল্যাব। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্মার্ট গভারনেন্সের সুবিধা পাচ্ছে। এতে আমাদের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। তবে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। অচিরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সব বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে আধুনিক জ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার মধ্যে দিয়ে ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

তিনি তার বক্তব্যে শিক্ষার মান উন্নয়নে ও শিক্ষক সমাজের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বাদশা বলেন, এটা সত্য যে আমাদের বাজেটের আকার বাড়ছে। কিন্তু শিক্ষায় বাজেটের আকার বাড়েনি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে হবে। আর এক্ষেত্রে আমি সংসদেও সোচ্চার রয়েছি।

এ সময় রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের নানা দিক-নির্দেশনা দেন তিনি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সংসদ সদস্যকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেওয়া হয়। শেষে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নব-নির্বাচিত সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শওকত আলী খান।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহা. আব্দুল খালেক, নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কালাচাঁদ শীল, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী, ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নির্বাচন কমিশনার ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক কামাল হোসেন শাহ ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।