পাথরঘাটা (বরগুনা): ঘূর্ণিঝড় রিমাল রাতে আঘাত হানলে তখন জোয়ার থাকবে। এমন সময় ভারী জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন উপকূলের বাসিন্দারা।
স্থানীয় নুরুল ইসলাম গাজীসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, রাত ১০ থেকে সোয়া ১০টার মধ্যে জোয়ার শুরু হয়। এমন সময় যদি রিমাল আঘাত হানা শুরু করে তবে খুবই ভয়াবহ অবস্থা হবে। কারণ বাতাসের সঙ্গে জোয়ারের সম্পর্ক রয়েছে। সে হিসেবে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
এদিকে পাথরঘাটার বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পাড়ের বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। তবে তাদের মধ্যে ভিন্ন আতঙ্ক বিরাজ করছে কারণ বাড়িঘর রেখে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছে।
পদ্মা আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা আ. বারেক বলেন, আমরা ঘর বাড়ি রেখে সাইক্লোন শেল্টারে এসেছি। সারা রাত ঘুম আসবে না, পানি ঢুকলে বা বাতাস হলে কিছুই থাকবে না।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, এখন অবস্থা খুবই খারাপ, ভারী বর্ষণ এবং ঝোড়ো হাওয়া চলছে। তবে অধিকাংশ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। উপজেলায় ১৫৬ আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষে ভরে গেছে। এছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন বাসা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। ইতোমধ্যেই শুকনো খাবার দেওয়া শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জলোচ্ছ্বাস হলে আমাদের জন্য ঝুঁকি হয়ে যাবে। ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
এসএম