ঢাকা, সোমবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ জুন ২০২৪, ১৬ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

জনবান্ধব আইনের মাধ্যমে সেবা পাওয়া সহজ হোক: সমবায়মন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪
জনবান্ধব আইনের মাধ্যমে সেবা পাওয়া সহজ হোক: সমবায়মন্ত্রী  সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ছবি: জিএম মুজিবুর 

ঢাকা: পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা চাই জনবান্ধব আইনের মাধ্যমে মানুষের আইনি সেবা পাওয়া সহজ হোক।  

বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে ‘বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইন, ২০০৪ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

 

যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে মাদারীপুর লিগ্যাল এইড অ্যাসোসিয়েশন (এমএলএএ), মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ম্যাব), দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন-বাংলাদেশ এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।  

তাজুল ইসলাম বলেন, কোনো আইন স্মার্টলি করলে সমাধান পেতে মাত্র তিন মাস সময় লাগে।  

আলোচনা পর্যালোচনা করে একটা সারসংক্ষেপ তুলে ধরলে বিরোধ মীমাংসা (পৌর এলাকা) বোর্ড আইন সংশোধন নিয়ে কাজ করা সহজ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

সভায় জানানো হয়, বর্তমানে দেশের ৩২৯ টি পৌরসভায় প্রায় পাঁচ কোটি লোক বসবাস করেন। পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও পৌর কর্মকর্তারা নাগরিক সেবার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিকভাবে বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রতিনিয়ত ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু পৌর বোর্ডের আর্থিক এখতিয়ার খুবই সীমাবদ্ধ থাকায় পৌরসভাগুলোর আইনের আওতায় বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না।  

আলোচকেরা বলেন, আনুষ্ঠানিক আদালতে সালিশ/ আপোষ যোগ্য মামলা নিষ্পত্তির জন্য কমপক্ষে দুই বছরের অধিক সময় অপেক্ষা করতে হয়। আবার এই ধরনের ছোটখাটো বিরোধ বা মামলা থেকেই জন্ম নেয় বড় বিরোধ। ফলে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এমনকি প্রতিপক্ষকে হয়রানির জন্য একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগও রয়েছে। এভাবে আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা বাড়ছে।  

দেশের পৌর এলাকায় বিরোধ মীমাংসা-সংশ্লিষ্ট ২০০৪ সালের আইনটি সংস্কার করে তাতে বিচারিক ক্ষমতার আর্থিক এখতিয়ার ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন তারা।  

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র ও মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল খালিদ হোসেন ইয়াদ, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন-বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪ 
এমএমআই/এসআইএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।