ঢাকা: নগরবাসীকে ঈদুল আযহার প্রথম দুদিনের মধ্যে পশু কোরবানি দেওয়ার অনুরোধ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। একইসঙ্গে উত্তর সিটির প্রত্যেকটি হাটে ক্যাশলেস লেনদেনের ব্যবস্থা থাকবে; প্রথমবারের মতো অনলাইনের মাধ্যমে হাসিলের টাকাও দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির বাস্তবায়ন ও কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২৫ লাখ পশু কোরবানি হবে। সারা দেশের চার ভাগের এক ভাগ পশু ঢাকায় কোরবানি হয়। এজন্য যা যা দরকার সব কিছু আমরা নিয়ে নিয়েছি। ৪৮০টি যানবাহন ব্যবহৃত হবে। জাপান থেকে ড্রাম লোডার আনা হচ্ছে। ১০ হাজার জনবলকে কাজে লাগানো হবে। ১০ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ নগরবাসীকে বিতরণ করা হবে। এই ব্যাগ ৩৫ কেজি পর্যন্ত লোড নিতে পারবে। প্রত্যেক বাড়িতে দুটি করে পলিব্যাগ বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই ঈদের দিন মাঠে থাকি। উত্তর সিটির প্রত্যেকটি হাটে ক্যাশলেস লেনদেনের ব্যবস্থা থাকবে। প্রথমবারের মতো এবার হাসিলের টাকাও অনলাইনে দিতে পারবে। ১৬১০৬ হটলাইন নম্বর খোলা থাকবে। আমিন বাজার ব্রিজের ওপরে কোনোভাবেই যেন চামড়ার হাট বসতে না পারে।
উত্তর সিটি মেয়র আরও বলেন, কোরবানি প্রথম দুদিনের মধ্যে করার অনুরোধ করছি। কারণ, ঈদের মধ্যে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ওপর অধিক চাপ থাকে। তারা দুইদিন নিরলসভাবে কাজ করে। তাদের কথা চিন্তা করে আমি এই অনুরোধ জানিয়েছি। যাতে তারাও একটু রিল্যাক্স পায়, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। এইজন্য আমি ঈদের তৃতীয় দিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ আয়োজন করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
জিসিজি/এমজে