ঢাকা: এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে কলকাতা থেকে ফিরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, মামলাটাকে আমরা একটা কনক্লুসিভ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত আছে তারা তাদের সবাই বাংলাদেশের।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে কলকাতা থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় আনার হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে কিছু জানা গেছে কি-না জানতে চান সাংবাদিকরা।
হারুন অর রশীদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনে তো অবশ্যই একটি মোটিভ রয়েছে। রাজধানীর গুলশান থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় দুই মাস ধরে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর আগে দুইবার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এমপি আনারকে হত্যার জন্য। তারা এমনভাবে পরিকল্পনা করলেন যাতে করে তাকে হত্যার পর তার লাশ না পাওয়া যায়। অভিযুক্তদের প্রচেষ্টা ছিল বাংলাদেশি এবং ভারতীয় তদন্তকারীদেরকে বিভ্রান্ত করা। ব্যবসায়িক কোনো দ্বন্দ্ব কিংবা রাজনৈতিক বা আর্থিক বা সামাজিক বিষয় রয়েছে কি-না সব বিষয় সামনে রেখে তদন্ত কাজ করছি। হঠাৎ করে কোনো একটা স্পেসিফিক মোটিভ এখন বলা ঠিক হবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, আমরাও বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি। এসব তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করেছি। যেহেতু মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে সেহেতু আমরা এখন স্পেসিফিক করে কিছু বলছি না।
উদ্ধার হওয়া খণ্ডিত অংশ বাদে তার দেহের বাকি অংশ উদ্ধার করা কঠিন হয়ে যাবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী তার দেহের বাকি অংশ পাওয়া যেতে পারে।
সেপটিক ট্যাংকে লাশের খণ্ডাংশ থাকতে পারে এমন ধারণা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া একজন আসামি বলেছেন, তিনি রাতের বেলায় ঘন ঘন বাথরুমের ফ্ল্যাশের শব্দ শুনেছেন। তখন আমাদের মনে হয়েছে মরদের খণ্ডাংশ ফ্ল্যাশ করা হয়েছে। এই ধারণা থেকে আমরা কলকাতা পুলিশকে জানাই।
আরও পড়ুন>> শাহিনকে ফেরাতে ভারতীয় পুলিশের সহায়তা চেয়েছে ডিবি
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
পিএম/এসএএইচ