ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট নাগরিকের সঙ্গে ধূমপান জিনিসটি যায় না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৪
‘স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট নাগরিকের সঙ্গে ধূমপান জিনিসটি যায় না’

রাজশাহী: স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট নাগরিকের সঙ্গে ধূমপান জিনিসটি যায় না বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

রাজশাহীতে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজশাহীতে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। তামাক দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে শুক্রবার (৩১ মে) সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আলোচকরা তামাকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন উপায় ও দিক সম্পর্কে আলোচনা করেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটা ভিত্তি হলো- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি। এমন কোনো স্মার্টনেসের সঙ্গে কিন্তু ধূমপান জিনিসটি যায় না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০৪০ সালের মধ্যেই আমরা ধূমপান থেকে মুক্তি পেতে চাই। মুক্তিলাভের জন্য আমাদের সমন্বিত পদক্ষেপে অগ্রসর হতে হবে। আমাদের তাই আরও বেশি সচেতন হতে হবে। বর্তমানে পৃথিবীতে ১২৫টি দেশে প্রায় ৪০ লাখ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়। বেশিরভাগ দরিদ্র দেশগুলোতেই এর চাষাবাদ হচ্ছে। তামাক পাতা শুকানোর জন্য বনভূমি উজাড় করে কাঠ সংগ্রহ করা হয়। তামাক চাষে বাংলাদেশ বিশ্বের ২০৪টি দেশের মধ্যে ১৩তম উল্লেখ করে তিনি এ অবস্থার বিভিন্ন নেতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তামাক কোম্পানিগুলো বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্র ও অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে তামাক সেবনকে তথাকথিত স্মার্টনেস হিসেবে দেখানোর যে বিপণন কৌশল অবলম্বন করছেন তা অবিলম্বে বন্ধ করার কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন এসব প্রতিরোধে বিদ্যমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’- এর আওতায় তামাক কোম্পানির অপতৎপরতা ও কূটকৌশল রোধে বিভিন্ন অভিযান ও কর্মতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এ সময় তিনি উপস্থিত বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা কেন ও কীভাবে মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ছে সে বিষয়ে তাদের অভিমত নেন এবং এর থেকে পরিত্রাণের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে পরামর্শ দেন।

বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ূন কবীর বলেন, জীবনে হতাশা ও চ্যালেঞ্জ থাকতেই পারে। তামাক সেবনকে হতাশা নিরাময়ের উপায় হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশে তোমরাই একসময় নেতৃত্ব দেবে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশকালে প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীকে ডোপটেস্ট করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া চাকরিরত কর্মচারীদের এসিআর প্রতিবেদনে ডোপটেস্ট করানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও যেকোনো ধরনের তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য সেবনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা উল্লেখ করে সবাইকে এ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান বিভাগীয় কমিশনার।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহিনুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেন ও আবু সালেহ আশরাফুল আলম, আরএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৪
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।