হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অবৈধ দখল-দূষণে সরু মরা খাল ও ময়লার ভাগাড়ে পরিণত খোয়াই নদীতে প্রাণ ফিরিয়েছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকা এই নদীতে তিনি স্পিডবোট চালিয়ে ‘জলকেলি’ খেলেছেন তিনি।
গত প্রায় এক যুগ ধরে চুনারুঘাট বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীতে ময়লা ফেলেছেন ব্যবসায়ীসহ লোকজন। এমন অবস্থা হয়েছিল; ময়লার ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে নদী পার হওয়া যেত। এ অবস্থায় গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে প্রথম কাজ হিসেবে নদী সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। পরে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিডি ক্লিন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে নদীটিকে একটি দৃষ্টিনন্দন লেকে পরিণত করেন।
এ উপলক্ষে শনিবার (১ জুন) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদীতে স্পিডবোট চালানো, আতশবাজি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এলাকার লোকজন চারপাশে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্যগুলো উপভোগ করে সংসদ সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় ব্যারিস্টার সুমন জাতীয় পতাকা হাতে নদীর এপাড় থেকে ওপাড়ে বারবার আসা-যাওয়া করেন। হাত এ সময় হাততালি দিতে থাকে উৎসুক জনতা।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘যে লোক মরা নদীকে উদ্ধার করে স্পিডবোট চালাতে পারে, তাকে কোনো কিছুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে মরা নদীটি দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। প্রবল ইচ্ছেশক্তির কারণে এটি করা সম্ভব হয়েছে। ’
সুমন আরও বলেন, দেশের কোথাও চুনারুঘাটের সমপরিমাণ সম্পদ নেই। এ উপজেলায় পাঁচ তারকা হোটেলসহ আধুনিক পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তাহলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিদেশে না গিয়ে এখানেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে পারবে।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই ভেদাভেদ ভুলে চুনারুঘাটকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তুলি। আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন চুনারুঘাটে কোনো অন্যায় হতে দেব না। আগামী পাঁচ বছর পর আমার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সোনার বাংলা গড়ার একটি ধারণা তুলে ধরব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২৪
এসআরএস