ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

৩ হাজার টাকার জন্য হাসপাতালে আটকে রাখার অভিযোগ, শিশুর মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৪
৩ হাজার টাকার জন্য হাসপাতালে আটকে রাখার অভিযোগ, শিশুর মৃত্যু মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন হাজার টাকার জন্য শিশু রোগী আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে রেজুয়ান নামের দেড় বছরের শিশুটি বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

রোববার (২ জুন) দুপুরের দিকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। শিশু রেজুয়ান শিবালয় উপজেলার বকচর এলাকার সোহেল গাজীর ছেলে।

তার স্বজনরা জানান, গত শনিবার (১ জুন) রাত ২টার দিকে শ্বাসকষ্টের কারণে দেড় বছরের শিশু রেজুয়ানকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন হয়। ওই হাসপাতাল থেকেই রোববার (২ জুন) সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু মুন্নু মেডিকেলে শিশুটির কয়েক ঘণ্টার চিকিৎসায় বিল বলা হয় তিন হাজার টাকা। শিশুর পরিবার ওই বিল পরিশোধ করতে না পারায় রেজুয়ানকে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত বলে কর্তৃপক্ষ। এভাবে সময় গড়াতে থাকে।

স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে দুপুরের দিকে মৃত্যু হয় রেজুয়ানের।  

এই ঘটনায় শিশু রেজুয়ানের আত্মীয়রা সেখানে উপস্থিত হলে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শিশু রেজুয়ানের বাবা সোহেল গাজী বলেন, আমার সন্তানকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলেছেন মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিলের জন্য শিশু রোগীকে আটকে রাখা হয়েছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।