ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

চাঁদপুরের পশুরহাটে ক্রেতার চেয়ে ব্যাপারী বেশি

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৪
চাঁদপুরের পশুরহাটে ক্রেতার চেয়ে ব্যাপারী বেশি

চাঁদপুর: পবিত্র ঈদুল আজহার দুই সপ্তাহ বাকি নেই। এরই মধ্যে কোরবানির পশুর হাট বসতে শুরু করেছে।

তুলনামূলক ছোট-বড় সাইজের দেশীয় প্রজাতির গরু হাটে উঠেছে। তবে এই হাটে মৌসুমি ব্যাপারীরাই হচ্ছেন ক্রেতা। কারণ সাধারণ ক্রেতা আসলেও দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। তবে এসব হাটে ব্যাপারীর সংখ্যাই বেশি।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সফরমালি কোরবানির পশুর হাট ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটিই জানা যায়।

জেলা সদর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার উত্তরে সফরমালি পশুর হাট। সপ্তাহের প্রতি সোমবার নিয়মিত পশুর হাট বসে। কিন্তু ঈদুল আযহা কেন্দ্রিক এটিই প্রথম বাজার। পুরো হাট জুড়েই দেখা গেল দেশি-বিদেশি হাজার হাজার ষাঁড়, বলদ ও গাভি। একই সঙ্গে অনেক নিজেদের বাড়িতে পালিত ছাগলে নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। তবে এই বাজারের অধিকাংশ খামারি ও বিক্রেতা হলেন মেঘনা নদীর পশ্চিমের চরাঞ্চলের এবং শরীয়তপুর জেলার।

জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলা থেকে গরু কিনতে এসেছেন শহীদ উল্লাহ সরকার তার ব্যবসায়ী অংশীজন। তিনি বলেন, আজকে বাজারে অনেক গরু উঠেছে। দাম দেখছি। যদি দরদাম বনে তাহলে কিনব। বাজারে গরুর খাবারের দাম বেশি। যে কারণে খামারিরাও দাম কিছুটা বেশি চাচ্ছেন।

শাহরাস্তি থেকে সফরমালির হাটে গরুর দাম দেখতে এসেছেন মৌসুমি গরুর ব্যাপারী রবিউল তার কয়েকজন অংশীদার। রবিউল বলেন, পুরো হাট ঘুরে দেখলাম। দুই ব্যাপারীর দুটি করে চারটি ষাঁড় পছন্দ হয়েছে। চারটি এক লাখ চার হাজার থেকে শুরু করে এক লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যে ক্রয় করেছি। এগুলো নিজ এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হবে।

হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা থেকে ভারতীয় বড় সাইজের চারটি গরু নিয়ে এসেছেন মুন্না নামের গরুর খামারি। তিনি বলেন, আমি ১১টি ভারতীয় ষাঁড় গত রমজান মাসের আগে কিনেছি। খামারে রেখে দেশীয় ঘাস ও দানাদার খাবার খাওয়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে সাতটি বিক্রি হয়ে গেছে। এই চারটির প্রত্যেকটির দাম উঠেছে দুই লাখ ১৫ হাজার করে। আমি দুই লাখ ৩০ হাজার করে হলে বিক্রি করবো।

শরীয়তপুর থেকে সাতটি দেশীয় জাতের গরু নিয়ে এসেছেন আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, আজকে এই হাটে ক্রেতা খুবই কম। কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী এসেছেন। তারা দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। আমার গরুগুলো ৪০ হাজার থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা মূল্যমানের।

মেঘনা নদীর পশ্চিমের চরাঞ্চল থেকে আসা মো. রাকিবুল হাসান বলেন, আমি নিজ বাড়িতেই বেশ কয়েকটি ষাঁড় লালন পালন করে বিক্রির জন্য এনেছি। বাজারে ক্রেতা সংকট। পরের হাটে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি।

সফরমালি পশুর হাটের পরিচালক আজাদ খান বলেন, আজকে বাজারে বেশকিছু গরু উঠেছে। আমরা ব্যবসায়ীদের সার্বিক নিরাপত্তা দিচ্ছি। ব্যবসায়ীদের যে কোনো সমস্যায় আমরা পাশে আছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।