পাথরঘাটা (বরগুনা): পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে পাথরঘাটাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। কোনো কাজ তাড়াহুড়ো করে হয় না, এ কাজও হবে না, ধৈর্য ধরেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে ১১টা ২০ মিনিটে তার বহনকৃত হেলিকপ্টার পাথরঘাটা কে এম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি হেলিকপ্টার থেকে দেখতে পেলাম এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে। বাদুরতলা খালে দেখলাম বাঁধ দেওয়া, এই খাল থেকে নদীতে পানি নামতে পারছে না। দেখলাম চারদিকে রাস্তা, মাঝখানে জলাবদ্ধতা। এই পানি বের করতে হলে লম্বা খাল কাটতে হবে। এছাড়া পানি নামবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে কোথাও জলাবদ্ধতা রাখা যাবে না। প্রয়োজনে জলাবদ্ধতার জায়গায় পানি নামিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন তিনি।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, আপনারা গাছ লাগান। নদী এবং বেড়িবাঁধের পাশে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। দেখবেন যে সব নদীর পাড় এবং বেড়িবাঁধের পাশে গাছ লাগানো আছে সেসব জায়গার বাঁধ ভাঙেনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, যত বেশি গাছ লাগাবেন, তত বেশি দুর্যোগের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাব। এবং বেড়িবাঁধ ভাঙন কম হবে। আপনাদের বাড়ির পাশে এবং নদীর পাশে গাছ লাগানোর পরে যদি ঘর এবং বেরিবাঁধ ভাঙে তাহলে আমি নিজে করে দেব এমন কথা বলেন তিনি।
পরে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় শেষে পাথরঘাটার জিনতলা, কাকচিড়া, কাকচিড়া মাঝের চর, বামনা ও বেতাগীর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে যান পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন- বরগুনা ১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, বেতাগী পৌর মেয়র গোলাম কবির, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম, পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেনসহ জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
বরগুনা- ২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা বলেন, ২৬ ও ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের ছোবলে পাথরঘাটায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া উপকূলের রক্ষাকবচ বেড়িবাঁধ প্রতি বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি শক্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণের।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই পাথরঘাটা উপজেলায় বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য সাড়ে ১৪০০ কোটি টাকা এবং বামনা উপজেলায় সাড়ে ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। যা বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে সেখান থেকে অনুমোদন হয়ে একনেকে উঠানোর প্রক্রিয়া চলমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৪
এসএম