রাজশাহী: মধুচক্রের ফাঁদ পেতে চার তরুণের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার সময় ১২ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ওই চক্রের চার তরুণী ও আট জন ভুয়া সাংবাদিক রয়েছেন।
গ্রেপ্তার চার তরুণী হলেন, মোসা. সুমি (২৬), মোসা. শম্পা (২০), প্রিয়াঙ্কা খাতুন (২১) ও পপি (৩৪)। আর গ্রেপ্তার ৮ ভুয়া সাংবাদিক হলেন, মহনগরীর মোল্লাপাড়া এলাকার মো. কাউসার (২৩), ছোটবনগ্রামের মানিক সাধন (৩০), হড়গ্রাম পূর্বপাড়ার মো. রহমত (২২), একই এলাকার কাউসার আলী (২৩), হেতেমখাঁ এলাকার মোহাম্মদ রতন (২০), ফুদকিপাড়া এলাকার মো. শাকিল (২৪), হড়গ্রাম শেখপাড়ার মো. সালাউদ্দিন (৩৬) ও লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়ার আশিক হাসান (২৩)। এদের মধ্যে পাঁচজন দৈনিক দেশ নামের একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন।
এছাড়া একজন দৈনিক নববাণী ও দুজন ডিডিপি টিভির সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
তাদের নামে ভুক্তভোগী ওই চারজনের পক্ষ থেকে শাহ মখদুম থানায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) জামিরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই চার তরুণী শাহ মখদুম থানা এলাকায় কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করতেন। এই চক্রের সদস্য হলেন ওই আট ভুয়া সাংবাদিক। ওই তরুণীরা মধু চক্রের ফাঁদে ফেলে লোকজনকে বাসায় নিয়ে যান। এরপর তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তোলেন। তারপর অনেকটা নাটকীয়ভাবেই ওই ভুয়া সাংবাদিকরা সেখানে হাজির হন। তারা পত্রিকায় খবর ও ছবি ছাপিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের ব্ল্যাকমেইল করতেন।
ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও আদায় করতেন। বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় এমন এক ঘটনার সময় বাড়ির মালিক বিষয়টি টের পেয়ে যান। এরপর তিনি থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ভুক্তভোগী চারজনকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি ৮ ভুয়া সাংবাদিক ও ৪ তরুণীকে আরক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৭ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২৪
এসএস/এএটি