ঢাকা, রবিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ জুন ২০২৪, ১৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে’

ঢাকা: দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা (এমপি)। জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা বলেছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট গণমুখী, কল্যাণকর, বিনিয়োগ ও নারীবান্ধব।

এ বাজেট বাস্তবায়নে দেশ আরও উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে। দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে। এ বাজেট জনবান্ধব।

মঙ্গলবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ওই আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, নূর মোহম্মদ, হাবিবুন নাহার, নিলুফার আনজুম, মো. তৌহিদুজ্জামান, এসএম কামাল হোসেন, নাইমুন জামান ভূইয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাঈনুল হোসাইন নিখিল, আশরাফুন্নেসা, মাহবুবুর রহমান, মোস্তাফা আলম, নিলুফার অনজুম, এইচ এম ইব্রাহীম, নাদিয়া বিনতে আমিন এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নূর মোহম্মদ বলেন, দেশে বর্তমানে শেয়ারবাজারের খারাপ অবস্থা, শুয়ে পড়েছে। এ খাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখতে পারেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে। অতীতেও এমন সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কোনো ইতিবাচক ফলাফল দেখিনি। এবার ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সরকার কর ফাঁকিবাজদের বিশেষ সুবিধা দিলেও সৎ করদাতাদের সঙ্গে বৈষম্য করতে পারে না। বৈধ করদাতাদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হচ্ছে। এটা বৈষম্যমূলকই নয়, অনৈতিকও।

দল ও সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি শব্দটি এখন সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এমন সব ব্যক্তির নাম আসছে, যা সামগ্রিকভাবে আমাদের জন্য বিব্রতকর। বাংলাদেশের কিছু লোক দ্রুত ধনী হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতির করে কিছু রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থের মালিক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। যে কোনো মূল্যে আমরা বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি উচ্ছেদ করতে চাই।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেন, যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টাকা দিচ্ছে না, ওই টাকা পাচার করে দিচ্ছে তাদের তালিকা করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা ট্যাক্স দেয় না, তাদের ট্যাক্সের আওতায় এনে বাজেট বাস্তবায়ন করা দরকার।

সাবেক উপমন্ত্রী হাবিবর নাহার বলেন, খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটসহ দেশের এ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ের তাণ্ডবে বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। মাছের ঘের ভেসে গেছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সংসদ সদস্য মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানও দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ তারা সমালোচনা করেছে। বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছে। আর আজ প্রধানমন্ত্রী দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন বলেন, এবারের বাজেট দেশের আরও উন্নয়নে সহায়ক হবে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছেন বলে পদ্মা সেতু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু টানেল হয়েছে। আর সেই প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার অনেক চেষ্টা করেছে। গ্রেনেড হামলা হয়েছে, কিন্তু আল্লাহ যাকে রাখে তাকে মারে কে?

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
টিএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।