ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদে বর্জ্য অপসারণে ১০ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করবেন: আতিকুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
ঈদে বর্জ্য অপসারণে ১০ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করবেন: আতিকুল ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন ৩২টি ডাম্প ট্রাক এবং ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাকের সংযোজন অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: ঈদে বর্জ্য অপসারণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের ১০ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করবেন এবং ঈদের দিন ৬ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বহরে কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ৩২টি ডাম্প ট্রাক এবং ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাক যুক্ত হয়েছে।

মেয়র বলেন, এই ট্রাকগুলোর মাধ্যমে কর্পোরেশন প্রতিদিন অতিরিক্ত প্রায় ৩৫০ টন বর্জ্য অপসারণ করতে পারবে। নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই যানবাহন যুক্ত করার মাধ্যমে ডিএনসিসির সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রমাণ হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে সিটি কর্পোরেশনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি।

বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর গাবতলীতে ডিএনসিসির প্রস্তাবিত কাঁচাবাজার সংলগ্ন মাঠে ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন ৩২টি ডাম্প ট্রাক এবং ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাকের সংযোজন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আতিকুল ইসলাম।

ঢাকা উত্তরের মেয়র বলেন, গত বছর সবার চেষ্টায় উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এবার আমাদের টার্গেট ৬ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসরণ করা। ৪০টি ট্রাক যুক্ত হওয়ায় এই বছর বর্জ্য অপসারণে আরও গতি বাড়বে। যে ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাক যুক্ত হলো, এগুলো সাধারণ ট্রাকের চেয়ে দশগুণ বেশি বর্জ্য অপসারণে সক্ষম। কম্প্যাক্ট করার মাধ্যমে একসাথে অনেক বর্জ্য বহন করতে পারবে এই ট্রাকগুলো।

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ঈদে বর্জ্য অপসারণের জন্য ১০ হাজারের অধিক কর্মী কাজ করবে। ১০ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন, টুকরি, ফিনাইল দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা ও ডিএনসিসির কর্মীরা মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করবেন। আমি নিজে মাঠে থাকব। জনগণকে অনুরোধ করছি, যত্রতত্র কোরবানির বর্জ্য ফেলবেন না। নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেবেন। গতবারের মতো জনগণের সহযোগিতা পেলে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করব।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, হাটের নিয়ম ভেঙে সড়কে কেউ হাট বসালে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়ম ভাঙলে ১০ শতাংশ সিকিউরিটি মানি রাখা হয়েছে, সেটি বাজেয়াপ্ত করে দেব। অন্যান্য বছর দেখেছি ইজারাদার হাটের বর্জ্য দ্রুত সময়ে অপসারণ করে না। তাই এ বছর আমরা পরিচ্ছন্ন ফি কেটে রেখেছি, সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরাই যথাসময়ে কোরবানির হাটের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হাসনাত মো. আশরাফুল আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
এমএমআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।