গাছের প্রতিটা ডগায় ডগায় ধরে আছে হাইব্রিড জাতের হলুদ তরমুজ। মাগুরা শ্রীপুর উপজেলা মধুপুর গ্রামের চাষি হৃদয় বালা ২০শতক জমিতে রঙিলা ৭ জাতের হলুদ জাতের তরমুজ চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়েছেন।
সরজমিনে তরমুজের খেতে গিয়ে দেখা যায়, মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় গাছের ডগায় ডগায় ধরে আছে হলুদ জাতের তরমুজ। ভা্লো ফলন হওয়ায় খুশি চাষি হৃদয় বালা। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ হওয়ায় ভালো দামে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন চাষিরা।
স্থানীয় কৃষক সুবধ বিশ্বাস বলেন, আমাদের এলকায় প্রথম বারের মত চাষ শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। এ হাইব্রিড জাতের তরমুজের ফলনও ভালো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তরমুজ বিক্রি শুরু হবে।
তরমুজ চাষি হৃদয় বালা জানান, ২০ শতক জমিতে রঙিলা হাইব্রিড জাতের তরমুজ চাষ করেছি। কৃষি অফিসের মাধ্যমে বীজ, সার, মালচিং পেপারসহ সকল প্রকার সহায়তা পেয়েছি। ফলে তরমুজ চাষ ভা্লো হয়েছে।
ইতিমধ্যে গাছের ফলন শুরু হয়েছে। নিদিষ্ট দূরুত্বে ঝুলছে হলুদ তরমুজ। এ চাষি আরো জানান, এ পর্যন্ত তার ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খেতে কমপক্ষে দেড় হাজার তরমুজ হবে। যার দাম দেড় লক্ষ টাকা।
উপজেলার দুইটি এলাকায় প্রথমবারের মত উচ্চ ফলনশীল বিশেষ এ দুইটি জাতের চাষ হয়েছে। মালচিং পদ্ধতি হচ্ছে বিশেষ জাতের পলিথিন দিয়ে মাটি থেকে উচুতে লম্বা বেড় তৈরি করে বীজ বপন করা। ফলে বৃষ্টিপাতে গাছের গোড়া পচে না এবং পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম হয় শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা বলেন, যশোর অঞ্চলের টেকশই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এই বিশেষ জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে। এ জাতের তরমুজের চাষের সম্প্রসারণে চেষ্টা করছি। কারণ প্রচলিত জাতের তরমুজ শেষ হবার পর মাত্র ২ দুই মাসে এই জাত বাজারে আসে। ফলে কৃষকরা ভালো দাম পায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
এমএম