ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ জুন ২০২৪, ১৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

নরসিংদীতে সংঘর্ষে গুলি-টেঁটাবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ আহত ১০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৪
নরসিংদীতে সংঘর্ষে গুলি-টেঁটাবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ আহত ১০

নরসিংদী: নরসিংদীর চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৯ জুন) সকাল ১১টায় নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ বাঁধে।

আহতরা হলেন—নরসিংদী মডেল থানার এসআই জয় বণিক (৩১), আলিপুর গ্রামের আবুল মিয়ার স্ত্রী জামিনা বেগম (৭০), কামাল মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫), রওশন আলীর ছেলে ফরহাদ (৩০), কামাল মিয়ার ছেলে দাউদ মনা (৪০) , খলিল মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৪০) ও ফরহাদ (৩৫)। এরা সবাই শাহজাহান মনার সমর্থক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নজরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইসমাইল কোম্পানি ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মনার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকাল ১১টায় ইসমাইল কোম্পানির লোকজন শাহজাহান মনার লোকজনের ওপর টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান।

এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে শাহজাহান মনার সমর্থক দাউদ মনা, সাইফুল ইসলাম, ফারুক মিয়া ও স্থানীয় দোকানি জামিনা বেগম গুলিবিদ্ধ আর ফারুক মিয়া, ফরহাদ টেঁটাবিদ্ধ হন। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের এসআই জয় বণিক গুলিবিদ্ধ হন।

আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও মাধবদীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল বাশার কমল বলেন, পুলিশের একজন এসআইসহ গুলিতে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের আহত এসআই জয় বণিক বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় একটি গুলি এসে আমার হাতে লাগে। পরে আমি সদর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছি।

নজরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছে। আমরা একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করেছি। তারপরও তারা বার বার সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। আজকেও তারা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে পুলিশ সদস্যসহ অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা এলাকার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে কাজ করছি।

এ ব্যাপারে জানতে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শহীদুল ইসলাম সোহাগ ও নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।