ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ জুন ২০২৪, ১৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

‘নদী খননে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে’ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
‘নদী খননে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে’  কথা বলছেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

সিলেট: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সুরমাসহ ২০টি নদী খননে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।  আগাম বন্যার কবল থেকে সিলেট নগর ও সুনামগঞ্জকে রক্ষায় সুরমা নদী ড্রেজিং করা হবে।

এজন্যে নদী খননে দেশের ৯টি স্থানে ড্রেজিং স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সিলেট নগরীর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের টুকের বাজার এলাকার শাদীখাল পরিদর্শনকালে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী জাহিদ।

এছাড়া সুনামগঞ্জেরও বন্যা পরিস্থিতি নিরসনে আরও ২০ নদী খনন প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয়েছে। মোট ৩০টি নদী খননে ২ হাজার কোটি টাকা একনেকে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

 প্রতিমন্ত্রী বলেন, উজান থেকে আসা পানির বিভিন্ন পলিমাটিও আসে সে পলিমাটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। নদীতে পলিমাটি থাকার ফলে এর আগেও ড্রেজিং কাজ ব্যাহত হয়েছিল। প্রকৌশলীদের সাথে আলাপ করেছি দ্রুত সুরমা নদী ড্রেজিং ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে নদী ভাঙন, পলিমাটি অপসারণে নিয়মিত নদী খনন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন সড়ক দিয়ে পানি পারাপারের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন আমরা আগাম বন্যা পরিস্থিতি রুখতে সুরমা নদী খননের ব্যবস্থা নিয়েছি।

এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা, সিলেট জেলা প্রশাসন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

এদিকে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জে প্রতি বছর বন্যা হয়। এজন্য ২ হাজার কোটি টাকায় ২০টি নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেটি একনেকে পাসের অপেক্ষায় আছে। এটা বাস্তবায়ন হলে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থাই নিচ্ছে সরকার।

দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর, বিরামপুর বন্যার্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আশ্রয়কেন্দ্র ও খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হবে। এছাড়া বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সড়ক নির্মাণ দ্রুত কাজ করা হবে।

তিনি বলেন, হাওরে প্রতি ছর বন্যা হবে মেঘালয়ের বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নেমে হাওরাঞ্চলে প্লাবিত হবে আর এটা মেনেই এ অঞ্চলে বসবাস করতে হবে। তবে সুনামগঞ্জসহ ২০টি নদী খননে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যেটি একনেকে পাসের অপেক্ষায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী সংসদ সদস্য এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য   রঞ্জিত সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, পুলিশ সুপার এহশান শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।