গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার আলোচিত ‘কথা বলা গাছ’টি কেটে ফেলা হয়েছে। এতে অবসান ঘটল অপপ্রচার ও প্রতারণার ব্যবসার।
রাঘদী ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এ গাছটি কেটে ফেলা হয়। এর আগে কথা বলছে গাছ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ আসতে থাকে।
গাছটিকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গর্জিনা গ্রাম। ওই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী সবুর মিয়ার বাগানের একটি গাছ কথা বলছে এমন অপপ্রচারের ডালপালা ছড়ায় চারিদিকে। তা এলাকার গণ্ডি পেরিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে আসতে থাকে সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ নানা মানতও করতে শুরু করেন।
গাছের গায়ে কান পেতে কথা শোনার চেষ্টা করেন তারা। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।
আজ শনিবার দুপুরে রাঘদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান টুটুলের উপস্থিতিতে কেটে ফেলা হয় আলোচিত গাছটি।
গাছটি কাটার সময় ভিড় করেন স্থানীয়রাসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। গাছটি কাটার সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অপপ্রচারকে কাজে লাগিয়ে এই গাছ দিয়ে কেউ যাতে ব্যবসা করতে না পরে সেজন্য গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঘদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান টুটুল।
এ গাছ কাটার মধ্য দিয়ে সব গুজব ও অপপ্রচারের অবসান ঘটলো এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন>> গোপালগঞ্জে ‘কথা বলা গাছ’ দেখতে মানুষের ঢল
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৪
এসএএইচ