ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

আনন্দমুখর-সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থায় যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৪
আনন্দমুখর-সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থায় যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী 

ঢাকা: শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার এমন একটা সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থায় যেতে চায় যেখানে শিক্ষার্থীরা আনন্দমুখর পরিবেশে নিজেরাই আগ্রহ নিয়ে পড়াশোনা করবে।  

সোমবার (২৪ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

 

এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মাধ্যমিক থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন এবং ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪’ এর সেরা মেধাবী পুরস্কার এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড, ২০২৩’ বিতরণ করেন।  

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের বলবো আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৃজনশীল শিক্ষার ব্যবস্থা, পাঠ্যপুস্তক, পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষাক্রম সব কিছু আমরা (আধুনিক করি)।  

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন যদি সারাক্ষণ কেউ বলে পড় পড় পড়, এটা কি ভালো লাগে বলো। মোটেই ভালো লাগে না। যাও একটা পড়ার ইচ্ছে থাকে তাও নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্যই এমন ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাটা করা যে আগ্রহ নিয়েই ছেলেমেয়েরা পড়বে।

নতুন কারিকুলাম নিয়ে অনেকের সমালোচনা প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, জানি, একটা পরিবর্তন এলে অনেকেই নানা ধরনের কথা বলেন। আমরা পরচর্চা করতে খুব পছন্দ করি। পরচর্চা ছাড়া তো আসরেই জমে না।  

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলছে এটা লিখলো, ওটা লিখলো। আমি বলেছি এটা লিখলো-ওটা লিখলো শুনবা না তো। নিজের মনে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। নিজের ওপর বিশ্বাস থাকতে হবে। দায়িত্ব যখন নেবে দেশের জন্য কোনটা ভালো সেটা নিজের চিন্তা থেকে আসতে হবে।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ একটু সমালোচনা করলেই ওমনিই সেটার জন্য ভীত হয়ে যেতে হবে। আমি এটা বিশ্বাস করি না। শিক্ষার্থীদের এটাই বলবো সব সময় আত্মবিশ্বাস থেকে চলা শিখতে হবে। তাহলে এই দেশকে তোমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উদ্ধৃতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের সেবা করা, জনগণের পাশে দাঁড়ানো, জনগণের জন্য কল্যাণ করা এটাই হবে মানুষের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। খালি আমি নিজে শিক্ষিত হবো, নিজে অর্থ কামাই করবো, নিজেই ভালো থাকবো, আমি দেশকে কিছু দেবো না। আশে-পাশের মানুষ দরিদ্র থাকবো এটা হয় না।  

তিনি বলেন, সকলে মিলেই আমাদের চলতে হবে, সকলে মিলে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সেই নির্দেশনাটা জাতির পিতা দিয়ে গেছেন, আমরা সেটাই অনুসরণ করি।  
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা আমাদের তরুণ সমাজই এগিয়ে নিয়ে যাবে।  

পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।  

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

এছাড়া পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৪
এমইউএম/এসআইএস 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।