ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

কালো টাকা সাদা করার বিধান রেখে অর্থ বিল পাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৪
কালো টাকা সাদা করার বিধান রেখে অর্থ বিল পাস

ঢাকা: কালো টাকা সাদা করতে ১৫ শতাংশ কর দেওয়ার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে অর্থ বিল ২০২৪ পাস হয়েছে৷ বাজেটে ব্যক্তির সর্বোচ্চ কর হার ২৫ শতাংশ বহাল থাকছে।

শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।

এর আগে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন। বাজেটের ওপর প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা ও অর্থমন্ত্রীসহ ২৩৬ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য রাখেন।  

গত ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।  এ বাজেটের ওপর গত ১১ জুন থেকে সংসদ অধিবেশনে আলোচনা হয়।

এ বাজেটে ব্যক্তির সর্বোচ্চ কর হার ৩০ শতাংশ প্রস্তাব করা হলেও সংসদে তা গ্রহণ হয়নি।  এর পরিবর্তে সর্বোচ্চ কর বিদ্যমান ২৫ শতাংশই বহাল থাকছে। বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী করহারের ধাপে কিছুটা পরিবর্তন এনে সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিলেন।

ব্যক্তি করমুক্ত সিলিং আগের মতো সাড়ে তিন লাখ টাকা বহাল রয়েছে।  এরপর পর্যায়ক্রমে পরবর্তী এক লাখ টাকার জন্য কর ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকার জন্য কর হার ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য কর হার ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য কর ২০ শতাংশ এবং বাকি পরিমাণ আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ।

কোম্পানি, তহবিল ও ট্রাস্ট কর্তৃক অর্জিত মূলধনি আয়ের ওপরও ১৫ শতাংশ করারোপের বিধান করা হয়েছে।  এর আগে প্রস্তাবিত বাজেটে কেবল ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই বিধান রাখা হয়েছিল।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় পেনশন বাবদ বাজেটে যেকোনো আয় এবং পেনশন স্কিমে প্রদত্ত যেকোনো পরিমাণ চাঁদা করের আওতামুক্ত থাকবে।

একাধিক গাড়ির ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে পরিবেশ সারচার্জ দিতে হবে, কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির জন্য এই বিধান প্রযোজ্য হবে না বলে অর্থবিলে সংশোধন আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে ১৫০০ সিসি/৭৫ কিলোওয়াট থেকে ৩৫০০ সিসি/১৭৫ কিলোওয়াটের গাড়ির ক্ষেত্রে পরিবেশ চার্জচা্জ ২৫০০০ টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে।

পূর্বের করবর্ষের তুলনায় অন্যূন ১৫ শতাংশ অধিক আয় কেউ যদি রিটার্নে প্রদর্শন করেন, তাহলে তাকে অডিটের আওতামুক্ত রাখার বিধান করা হয়েছে।

এছাড়াও সিটি করপোরেশনে অবস্থিত কোনো কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল ভাড়া নিলে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে সকল স্থানের কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হল ভাড়ার ক্ষেত্রে এ প্রস্তাব করা হয়েছিল।

জাতীয় সংসদে সুখি সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার শিরোনামে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি।  এতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ ভাগ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।  রোববার (৩০ জুন) প্রস্তাবিত এ বাজেট পাস হবে এবং জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে৷

বাংলাদেশ সময় ২০৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৪/আপডেট: ২২৪৭ ঘণ্টা
এসকে/এমইউএম/এমজে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।