ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সংরক্ষিত বনের কেওড়া গাছ উদ্ধার, অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
সংরক্ষিত বনের কেওড়া গাছ উদ্ধার, অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

বরগুনা: জেলার তালতলীতে টেংরাগিরি সংরক্ষিত বন থেকে চুরি করে কেটে নেওয়া চারটি কেওড়া গাছ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। তবে চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার পরও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের জয়ালভাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় গাছগুলো উদ্ধার করা হয়।

কেওড়া গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তবে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।  

স্থানীয়া এবং বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় জেলে মো. বেল্লাল সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনের গাছগুলো বিভিন্ন সময় চুরি করে কেটে নিচ্ছে। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে বন বিভাগ কেটে ফেলা চারটি কেওড়া গাছ উদ্ধার করে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত মো. বেল্লালের বাড়ির পাশে একটি খালে ফেলে রাখা দুটি কেওড়া গাছ কেটে সাইজ করছেন তিনি। এসময় বন বিভাগের লোকজনকে ওই গাছ জব্দ করে। পরে ওই এলাকার ইউপি সদস্য মো. জাহিদের কাছে গাছগুলো জিম্মা দেওয়া হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুন বলেন, বেলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় টেংরাগিরি বনের বড় বড় চারটি কেওড়া গাছ কেটে সাইজ করছে। পরে বিষয়টা স্থানীয় বন বিভাগে জানালে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এভাবে বনের গাছ কাটলে শীঘ্রই উজাড় হয়ে যাবে টেংরাগিরি বনের গাছ।

নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাহিদ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে বনের চার পিস গাছ পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয় বন বিভাগের লোকজন আমার কাছে গাছগুলো জিম্মা দিয়েছে। বনের গাছ কাটা একটি অপরাধ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, বেল্লাল একজন জেলে মাছ ধরার ফাঁকে ফাঁকে সে বনের গাছ লুটপাট করে। তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো দিন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তিনি সব জায়গা থেকে ছুটে যান। এছাড়া স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে দিন দিন বনের গাছ লুটপাট হচ্ছে।

তবে অভিযুক্ত মো. বেল্লাল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

নিশানবাড়ীয়া বিট কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে চারটি কেওড়া গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রকৃত আসামিকে পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, বিষয়টা আমি অবগত হয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুতই মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বন বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।