ঢাকা: নিবন্ধিত কোনো এনজিও বেআইনি কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের বক্তব্যের পর সমাজকল্যাণমন্ত্রী এ কথা জানান।
পঙ্কজ নাথ বলেন, গরিব মানুষের রক্তচোষা পয়সা যেন কারো কারো ব্যক্তিগত কোষাগারে জমা না হয়। মানুষ যাতে লভ্যাংশের সুবিধা পায়। প্রধানমন্ত্রী সামাজিক নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশকে পাল্টে দিয়েছেন। মাইক্রো ক্রেডিটের নামে গরিবের রক্তচোষা বন্ধ করুন। জোবরা গ্রাম কি আগের মতো আছে? সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে যেখান থেকে শুরু হয়েছিল ড. ইউনূস সাহেবের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প বা গ্রামীণ ব্যাংক। ক্ষুদ্র ঋণের নামে গরিব মানুষের কাছে কাগজে-কলমে বলছেন সুদ সাড়ে ১২ শতাংশ। ১০ হাজার টাকায় প্রতি সপ্তাহে ২৫০ টাকা। প্রথম কিস্তিও ২৫০ টাকা, শেষ কিস্তিও ২৫০ টাকা। চারবার মাল্টিফ্লাই করেন, তাহলে দেখবেন কত শতাংশ সুদ আসে? প্যাকেজেজ লিমিটেডে ঋণ নিলেন ৫ শতাংশ সুদে। ইউনূস সাহেবের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিলো ৩৫ শতাংশ, যেটা ৫ শতাংশের কম সুদে। আমাদের কথা হচ্ছে, জোবরা গ্রাম কি আগের মতো আছে নাকি বদলে গেছে? মাইক্রোক্রেডিট যদি সফল হতো, তাহলে গরিবের রক্তচোষা গ্রামীণ টেলিকম, প্যাকেজেজ লিমিটেডের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা, বিদেশিদের লবিংয়ে টাকা দেওয়া।
এর পর সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান নয়। এটি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতিষ্ঠান। ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। যেভাবে বিশ্বে পরিচয় দেওয়া হয়, তা সঠিক নয়। এটি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। এটি শুধু ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত। যদিও এরপর নানা রকম ব্যবসায় প্রসারিত করেছে তার চার্টারের বাইরে গিয়ে।
সমাজকল্যাণে নিবন্ধিত কোনো এনজিও বেআইনি কাজ করলে তার বিরুদ্ধে তথ্য দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, পাবলিক মানি যেটা এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের জন্য এ অর্থের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি করার যখনই সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, তখনই একটি মহল বিদেশিদের নিয়ে সরকারের ঘাড়ের ওপর চড়াও হয়েছে। বলা হয়েছে, পাবলিক স্পেস সোশ্যাল সেক্টরের জন্য কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা সাধারণ মানুষের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
এসকে/আরআইএস