নারায়ণগঞ্জ: জেলার ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (০১ জুলাই) জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মামলার এজাহারনামীয় আসামি মোহাম্মদ হাবিব (২০), মো. সোহেল (৩০), মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আনার (২৪), মোহাম্মদ ফয়সাল মোল্লা (৩২), ওয়াসেল হোসেন নাহিদ (২৭), মাসুদ (৫২), বাপ্পি (২৩), জামাল (৪৮) ও কাইয়ুম (২২)।
পুলিশ জানায়, বিশেষ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় আসামি নাহিদ, সোহেল, হাবিব, আনোয়ার ও ঘটনায় এজাহার বহির্ভূত জড়িত মো. ফয়সাল মোল্লা, মাসুদকে গাজিপুর ও ফতুল্লা থানাধীন বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৯ জুন ফতুল্লা থানার একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ফতুল্লা থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত এজাহারনামীয় আসামি বাপ্পি ও জামালকে এবং গত ৩০ জুন ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে নিহত সুরুজ মিয়ার ছেলে মুন্না বাদি হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় স্থানীয় সন্ত্রাসী ও হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সালাউদ্দিন সালু ও হীরাসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়নের আলীপাড়া এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ মিয়াকে দিনেদুপুরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সুরুজ মিয়াকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন তার দুই ছেলেসহ চারজন।
নিহত সুরুজ মিয়ার পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় ইট বালু সিমেন্টসহ ইমারত নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন সালু ও হিরার সঙ্গে সুরুজ মিয়ার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে সুরুজ মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। নিহত সুরুজ মিয়া স্থানীয় আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতিও ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৪
এমআরপি/এফআর