ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বান্দরবানে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৪
বান্দরবানে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন

বান্দরবান: গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানের জনজীবনে নেমে এসেছে তীব্র দুর্ভোগ। একদিকে অবিরাম বৃষ্টি আর তার ওপরে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে নাকাল জেলাবাসী।

টানা বর্ষণে যেন কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে এবং পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন কার্যক্রম শুরু করেছে।

পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং ও প্রচারণার পাশাপাশি অনেককে নিরাপদে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বান্দরবান পৌর এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে তিনি সাঙ্গু নদী, বালাঘাটা বাজার, কালাঘাটা বীর বাহাদুর নগরের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করার পাশাপাশি পৌর এলাকার বিভিন্ন ড্রেনেজ ব্যবস্থার খবরাখবর নেন এবং পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যাতে কেউ বসবাস না করে তার জন্য পৌরসভার মেয়রকে কাউন্সিলরদের আবারও সর্তক করার নির্দেশনা দেন।  

শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বৃষ্টির পানি সড়কে জমে যেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করতে না পারে এবং যাতে দ্রুত নালা ও খালে পানি যেতে পারে সেজন্য পৌরসভার কর্মীদের তৎপরতা আরও বাড়াতে মেয়রকে নির্দেশনা দেন।

জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, সাত উপজেলায় ২১৪টি বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা সব বসবাসকারীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনওকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পৌরসভার মেয়র মো.সামসুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে হাবীবা মিরা, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।