ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের জন্য ফ্রান্সের সহায়তা, স্বাগত জানালো ইউএনএইচসিআর

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৪
রোহিঙ্গাদের জন্য ফ্রান্সের সহায়তা, স্বাগত জানালো ইউএনএইচসিআর

ঢাকা: জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষা প্রদানের প্রচেষ্টায় ফ্রান্স সরকারের ১.৫ মিলিয়ন ইউরো (১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য) অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ইউএনএইচসিআর জানায়, ২০১৭ সালের পর থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর হয়ে রয়েছে।

ফ্রান্সের এই সহায়তায় শরণার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের প্রত্যয় বজায় রাখা যাবে। সেইসাথে রোহিঙ্গাদের রান্নার জন্য লাকড়ির বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবস্থা করা যাবে; যার মাধ্যমে বন উজাড় ও কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ প্রতিরোধ করে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি (রিপ্রেজেন্টেটিভ) সুম্বুল রিজভি বলেন, ফ্রান্স রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য চলমান মানবিক কর্মকাণ্ডের এক অবিচল সমর্থক। এই উদার অনুদান রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ মানবিক সাহায্য ও সুরক্ষা সহায়তা নিশ্চিত করবে। এটি কক্সবাজারের পরিবেশের সফল পুনঃবাসনের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও শরণার্থী পরিস্থিতিতে থাকা স্থানীয় জনগণকেও সহায়তা করবে।

ফ্রান্সের এই নতুন অনুদানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশের পর ইউএনএইচসিআর আশা করে মানবিক কর্মকাণ্ডের তহবিলের ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য দাতারাও পুনরায় এগিয়ে আসবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই বলেন, প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অভিবাদন জানায় ফ্রান্স। আমরা শরণার্থীদের আরও ভালো সুযোগ তৈরির জন্য কাজ করে যাবো; আর আশা করবো তাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য। আমাদের অগ্রাধিকারগুলো হচ্ছে ক্যাম্পের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা ও জোরপূর্বক বার্মায় ফেরত পাঠানোর ঘটনা নিয়ে কাজ করা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবিকার সুযোগ তৈরি করা।

২০২৪ সালে মানবিক সংস্থাগুলি রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় বাংলাদেশিসহ প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে ৮৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি অর্থের আবেদন জানিয়েছিল। এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে চলমান যৌথ মানবিক কর্মকাণ্ডের ৩০ শতাংশেরও কম অর্থায়ন সম্ভব হয়েছে। ফ্রান্সের যৌথ আয়োজনে গত বছরের বিশ্ব শরণার্থী ফোরামে শরণার্থীদের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধির জন্য যেসব পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেগুলো বাস্তবায়নেও বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। এটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ কমাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২৪
টিআর/নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।