জামালপুর: বৃষ্টি ও উজানের পানিতে যমুনা নদীর তীরবর্তী অঞ্চল জামালপুরের চারটি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে ২২ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনেও উঠেছে পানি। তবে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বানভাসিরা বলছেন, কম সময়ের মধ্যে বন্যার এমন অবনতি আগে দেখেননি তারা।
এছাড়া দুদিনে বন্যাকবলিত এলাকায় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনকে দেখা যায়নি বলে বানভাসিদের অভিযোগ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, যমুনার পানিতে চারটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ পর্যন্ত ৩২০ মেট্রিক টন চাল, ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ত্রান সহায়তার পাশাপাশি ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে চিড়া, গুড়, মুড়ি ও খিচুড়ি রান্না করে বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সব প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ছয়টি ও ইসলামপুরে চারটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে স্থীতিশীল অবস্থায় রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা ধীরগতিতে পানি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৪
এসআরএস