ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গাংনীতে পরকীয়া করায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৪
গাংনীতে পরকীয়া করায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

মেহেরপুর: গাংনীতে মায়ের সঙ্গে পরকীয়া করায় ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকে (৫২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে ছেলে।  

শুক্রবার (৬ জুলাই) রাত ২টার দিকে উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

 

পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার গলায় ৬১টি, হাতে ১২টি ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ১৫টিরও অধিক সেলাই করাা হয়েছে বলে পারিবারিকভাবে জানা গেছে।

আহত শফিকুল ইসলাম গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মোকাদ্দেস আলী মহুরার ছেলে। তিনি হিজলবাড়িয়া গ্রামের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম একই এলাকার দূর সম্পর্কের মামা দিনমজুর সাবাজুল ইসলামের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এই সুযোগে ওই কৃষকের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরই জেরে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে দিনমজুর সাবজুলের বাড়িতে যান শফিকুল। রাতে তার মায়ের ঘরে উঠতে দেখে ফেলেন সাবজুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ। পরে ধারালো অস্ত্র (কাস্তে) নিয়ে দরজার সামনে এসে দাঁড়ায় থাকেন তিনি। কিছুক্ষণ পর পালিয়ে যাওয়ার সময় শফিকুলকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে ফিরোজ। এতে শফিকুলের গলায়, হাতে ও বুকসহ বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়।

এ বিষয়ে ফিরোজ বলেন, পরকীয়া প্রেমের কথা গ্রামের মানুষের মুখ থেকে শুনতাম। কিন্তু আমি এসব বিশ্বাস করিনি। যেদিন আমার সামনে তারা পড়বে, সেদিন বিচার করবো এটা বলতাম। ঘটনার রাতে আমি সজাগ ছিলাম। এসময় শফিকুলকে ঘরে উঠতে দেখি। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে জাপটে ধরি। সে আমাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে একপর্যায়ে হাতে থাকা কাস্তে দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করি।  

তিনি আরও বলেন, পরকীয়ার কথা গ্রামের মানুষের মুখে শুনে প্রথমে তাদের পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানাই। গ্রামের লোকজনও তাকে বারবার নিষেধ করেছে। তারপরেও তিনি শোনেনি।

এদিকে শফিকুলের বাবা মোকাদ্দেস আলী মহুরি ও বোন রহিদা খাতুন বলেন, ওই নারী চরিত্রহীন। আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক নারী ও গ্রামবাসী জানান, শফিকুলের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারে না।  

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে শফিকুল ইসলামের বিচার দাবি করেছে এলাকার মানুষজন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, রাতে ঘটনাটি শোনার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে একটি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।