ঢাকা: সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি দায়ের করেন।
সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো আকতারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার সাভার ঢাকার পরিচালক ডা. মো. মনিরুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, খামারবাড়ির পরিচালক (উৎপাদন) ডা. এ বি এম খালেদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার সাভার ঢাকার বায়ার অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার সাভার ঢাকার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (লিভ রিজার্ভ) ফিরোজ আহমেদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপপরিচালক এ বি এম সালাহ উদ্দিন, সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন এবং তোহিদুল আলম জেনিথ।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাহমা জাতের গরু নিয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে মামলার সুপারিশ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান দল।
দুদক সূত্র জানায়, গত ৩ জুলাই সাদিক অ্যাগ্রোর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার খামার থেকে ব্রাহামা জাতের ছয়টি জব্দ করা হয়। গরুর গায়ে থাকা কোড নম্বর দেখে দুদক নিশ্চিত হয়, এগুলো ২০২১ সালে বিমানবন্দরে জব্দ হওয়া ১৮টি গরুর ছয়টি। প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নথিপত্র জাল করে এসব গরু আমদানি করেছিল সাদিক অ্যাগ্রো। বৈধতা না থাকায় ২০২১ সালে গরুগুলো জব্দ করে বিমানবন্দর কাস্টমস। পরে সেই গরু জব্দ সাভারের সরকারি গো-প্রজনন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নানামুখী কারসাজি করে নিজেদের খামারে নিয়ে যান সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে খামারে এই গরুর প্রজননও ঘটিয়েছে সাদিক অ্যাগ্রো। যা ধরা পড়ে দুদকের গত ১ জুলাইয়ের অভিযানে। সেখানে সাতটি ব্রাহমা জাতের বাছুর উদ্ধার হয়। যা সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ প্রজননের প্রমাণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৪
এসএমএকে/এসআইএস