ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কোটা সংস্কার আন্দোলন

পুরান ঢাকার আদালত এলাকায় গুলিবিদ্ধ জবির ৪ শিক্ষার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৪
পুরান ঢাকার আদালত এলাকায় গুলিবিদ্ধ জবির ৪ শিক্ষার্থী

ঢাকা: পুরান ঢাকার আদালত এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চার শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সংলগ্ন স্টার হোটেলের সামনে বিকেল সাড়ে৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী এক চা দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি তিন-চারটি গুলির শব্দ শুনেছি। অনেক ইটপাটকেল ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হতে দেখেছি। এ সময় সরকার সমর্থক কিছু নেতাকর্মীকে আদালত চত্বরেও অস্ত্র হাতে দেখা যায়। সরকার দলের কিছু নেতাকর্মীকে সিএমএম আদালতের সামনে দিয়ে রাজার দেউড়ি এলাকায় চলে যেতে দেখা যায়।

এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিপুর সংখ্যক শিক্ষার্থী ফের মিছিল নিয়ে রায় সাহেব বাজারের দিক থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজধানীর পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ গুলি বর্ষণ করেছেন। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস, ১৭ ব্যাচের অন্তু, ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিকসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নজরুল ইসলাম বলেন, গুলির খবর শুনেছি। তবে আমরা এক গ্রুপই মিছিল করতে দেখেছি। অন্য গ্রুপ দেখিনি।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে স্ট্যাম্প, লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা- 'আন্দোলনে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই', 'কোটা না মেধা, মেধা, মেধা', 'দালালি না রাজপথ, রাজপথ, রাজপথসহ নানা স্লোগান দিতে থাকে।

এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির উদ্দেশ্যে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাসে করে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান। তবে আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ায় পুরান ঢাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসের সামনে শোডাউন দিতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৪
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।