মাদারীপুর: কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে মাদারীপুরে সকাল থেকেই চলছে পুলিশ, ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ত্রিমুখী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মাদারীপুর শহরের ডিসিব্রিজ এলাকায় জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা। পরে পাশের জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় তারা। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। পরে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ।
পরবর্তীতে ছত্রভঙ্গ হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে ৬ জনকে। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শহরের শকুনী লেকের পানিতে ডুবে আন্দোলনকারী দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। তাদের মধ্যে দুপুর একটার দিকে দীপ্তর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া নিখোঁজ আরেকজনকে উদ্ধারে কাজ চলছে বলেও জানিয়েছে মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. আহাদুল ইসলাম।
বিকেলে আন্দোলনকারীরা শহরের পুরানবাজার আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা, অগ্নিসংযোগ করে পুরান বাজার লঞ্চঘাট ১নং পুলিশ ফাঁড়িতে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) আজমেরী হক বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জানালার গ্লাস ভেঙেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, ‘পরিস্থিতি মোকাবেলায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে আন্দোলনকারীরা। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৪
এসএএইচ