ঢাকা: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনের নামে যারা নাশকতা চালিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে নাশকতায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিজি এ কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশদ্রোহী, বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল এসব নাশকতা চালিয়েছে। তারা প্রকৃত অর্থে ছাত্র নয়।
তিনি বলেন, নাশকতাকারীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙচুর, ভবন ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, থানায় হামলা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় র্যাবের শতাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এসব হামলায় বেশ কয়েকজন র্যাব সদস্য গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে সমীর বড়ুয়া নামে এক কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
র্যাব প্রধান বলেন, আন্দোলনকারীরা মানব ঢাল হিসেবে ৭-১০ বছরের শিশুদের সামনে রেখে পিকেটিং করেছে, এজন্য আমরা তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে পারিনি। পরবর্তীসময়ে হেলিকপ্টারে করে আমরা তাদের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করেছি। নন লিথিয়াম উইপেন এবং টিয়ার শেল ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুনীম ফেরদৌস বলেন, সোমবার রাতে রাজধানীর নদ্দা ও ভাটারা এলাকা থেকে র্যাব অভিযান চালিয়ে নাশকতায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- সজল মিয়া, ফয়সাল আহমেদ রকি, আরিফুল ইসলাম ও তারেক হোসেন। এর মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত তারেক সাধারণ ছাত্র গণঅধিকার পরিষদের ২০১৮ সালের কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব। তিনি মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা এনে এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছে। এসব টাকা দিয়ে গ্রেপ্তারকৃতরা রামপুরার বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন, মেট্রোরেল, কাজিপাড়া ও মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন, রামপুরা ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
তিনি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
এসআরএস