ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা দেশের কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টার জ্বালিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন থেকে সুবিধা নেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সারা বিশ্ব থেকে দেশকে বিচ্ছিন্ন করতেই তারা এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।
তিনি মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) অন্য তিন মন্ত্রীর সঙ্গে ব্রিফিংকালে বলেন, ইন্টারনেট না থাকায়, আমরা সমস্যায় পড়েছি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্বৃত্তরা শিক্ষার্থীদের কার্যত ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে, যার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠে।
এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন।
আরাফাত বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র জানত যে, তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে পারলে, বিদেশে অপতথ্য পাঠানো সম্ভব হবে, যা বিশ্বগণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হবে এবং একপাক্ষিক মিথ্যা তথ্য পৌঁছে দেবে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সন্ত্রাসীদের চালানো হামলার খবর প্রকাশ করা হয়নি, সরকার শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছে, যা আগেও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে।
বিশ্বের কাছে অপতথ্যের বিরুদ্ধে সত্য তথ্য তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ইন্টারনেট চালু করার চেষ্টা করছে। আপনাদের বিশ্বকে জানানো উচিত বাস্তবিক পক্ষে বাংলাদেশে কি ঘটেছে।
হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও শোক জানিয়ে আরাফাত বলেন, এটা আমাদের পরিষ্কার বার্তা যে হতাহতের জন্য যারাই দায়ী হোক না কেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
জেএইচ