জামালপুর: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার দাবির আন্দোলন ঘিরে জামালপুরে সহিংসতা, নাশকতা ও সংঘর্ষের অভিযোগে ১১টি মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনসহ এ পর্যন্ত জামায়াত-বিএনপির ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর থানায় ছয়টি, বকশীগঞ্জে দুটি, সরিষাবাড়ীতে একটি, দেওয়ানগঞ্জে একটি ও ইসলামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
গত ২০ জুলাই থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাত পর্যন্ত ওইসব মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় ২৯৫ জনের নাম এবং ২ হাজার ১১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২ হাজার ৪১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত সোম থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- জামালপুর শহর বিএনপির সহ-সম্পাদক মনির হোসেন ফকির, বুলবুল জেনারেল হাসপাতালের মালিক ও জামায়াত নেতা মো.আশরাফুল ইসলাম বুলবুল ও শহর তাঁতী দলের সদস্য সচিব ফরাস উদ্দিন লিটন।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার দাবি শিক্ষার্থীদের একটি যৌক্তিক আন্দোলন। সেই যৌক্তিক আন্দোলনে বিএনপি সমর্থন জানিয়েছেন। আর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বিধায় সরকারও মেনে নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের সেই আন্দোলনের সহিংসতা যখন চরম আকার ধারণ করে, তখন সরকার বিএনপি নিপীড়নে মাঠে নামে। সেই বিএনপি নিপীড়নের অংশ হিসেবে সারা দেশের মতো জামালপুরেও মিথ্যা মামলা দিয়ে গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে। সেই মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই। তা না হলে এসব ঘটনা বিএনপি রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করবে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত কবির বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা, নাশকতা ও সংঘর্ষে সংশ্লিষ্টতা থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
এসআরএস