ঢাকা, শুক্রবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১৯ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

নীলফামারীতে চার মামলায় গ্রেপ্তার ৬২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
নীলফামারীতে চার মামলায় গ্রেপ্তার ৬২ প্রতীকী ছবি

নীলফামারী: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার দাবির আন্দোলনকে ঘিরে নীলফামারীর দুই উপজেলায় সহিংসতা, নাশকতা ও সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরে একটি ও সৈয়দপুরে তিনটি।

 

এছাড়া সহিংসতা চলাকালে সৈয়দপুরে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুটি রাইফেল ও একটি রিভলভার, ছয় রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন। এর মধ্যে রাইফেল দুটি উদ্ধার হলেও রিভলবারটির কোনো খোঁজ মিলেনি। এসব মামলায় গত ১৮ জুলাই থেকে শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল পর্যন্ত মোট ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে জেলা সদরে ১৭ জন ও সৈয়দপুরে ৪৫ জন।  

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, জেলা শহরের বাটার মোড়, শহীদ মিনার, চৌরঙ্গীর মোড়, বঙ্গবন্ধু চত্বর ও পিটিআই মোড়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ সাংবাদিকসহ দুই উপজেলায় ২৫ জন আহত হন। এর মধ্যে ১০ জন গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অপরদিকে, সৈয়দপুর থানার ওসি শাহা আলম জানান, হামলা, সংঘর্ষ ও

অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলোতে এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত ৪৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান জানান, নীলফামারীতে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। জামায়াত-বিএনপি ও শিবিরের কর্মীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের নামে পরিকল্পিতভাবে কোমলমতি শিশুদের ব্যবহার করে এই তাণ্ডব চালায়। এতে জাতির পিতার ছবি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে ফেলাসহ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা, পুলিশ বক্স, জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে হামলাসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোকবুল হোসেন জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়াসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা করেছে। এসব মামলায় নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। এদের মধ্যে গত সাতদিনে মোট ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।  

তিনি বলেন, জেলার দুই উপজেলায় প্রায় ২৫-২৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গত ১৮ জুলাই সকাল থেকে জেলা শহরের বাটার মোড়, শহীদ মিনার, চৌরঙ্গীর মোড়, বঙ্গবন্ধু চত্বর ও পিটিআই মোড়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর ছবি, পুলিশ বক্স ও ডিসি অফিসের গেট ভাঙচুর, চারটি মোটরসাইকেলসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।