ভোলা: জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকায় ভোলার ইলিশা ঘাটে দুর্ভোগ বেড়েছে। লো এবং হাই ওয়াটার এ দুই ঘাট প্লাবিত হওয়ার ফলে ফেরিতে ওঠা-নামা করতে পারছে না কোনো যানবাহন।
টানা সাতদিন ধরে এ অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
জানা গেছে, ভোলার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুট। প্রতিদিন শত শত যানবাহন পারাপার হয় এ রুটে। তবে এ রুটের ভোলা অংশের ইলিশা ফেরিঘাট জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকায় ফেরি চলাচলে বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। লো এবং হাই ওয়াটার দুটি ঘাট ডুবে যাওয়ায় ফেরিতে ওঠা-নামা করতে পারছে না কোনো যানবাহন। ফলে দিনে ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ফেরিতে লোড আনলোড বন্ধ থাকছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
পরিবহন শ্রমিক লোকমান হোসেন, আকবর ও মফিজ বলেন, ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় কোনো যানবাহন ওঠা-নামা করতে পারছে না। তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর আমরা পার হতে পারলেও ভোগান্তির সীমা ছিল না।
শুধু পরিবহন শ্রমিক নয়, যাত্রীরাও পারাপার হতে পারছেন না। কেউ কেউ আবার নৌকায় পারাপার হলেও তাদের বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই। এ অবস্থায় দ্রুত ঘাট সংস্কারের দাবি তাদের।
যাত্রী লাবণি আক্তার ও লাইজু বলেন, ফেরি ঘাটে ভেড়ার পর নৌকা দিয়ে পার হয়েছি, ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে ডুবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সীমাহীন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।
এদিকে এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ঘাট সংস্কারে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান ফেরির ব্যবস্থাপক পারভেজ খান। তিনি জানিয়েছেন, তাদের কয়েকবার বলা হয়েছে। তারা দ্রুত মেরামতের আশ্বাসও দিয়েছেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে সকাল ও বিকেলের জোয়ারে তিন ঘণ্টা করে ছয় ঘণ্টা ফেরিতে লোড আনলোড বন্ধ থাকছে।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের দুর্ভোগ লাগবে জনগুরুত্বপূর্ণ রুটটি সংস্কারের দাবি পরিবহন শ্রমিকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৪
আরএ