ঢাকা, শনিবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩১, ০৩ আগস্ট ২০২৪, ২৭ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

গায়ে পতাকা জড়িয়ে রাস্তায় বিএনপি নেতা মিনুর স্ত্রী, জানালেন হতাহতের প্রতিবাদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
গায়ে পতাকা জড়িয়ে রাস্তায় বিএনপি নেতা মিনুর স্ত্রী, জানালেন হতাহতের প্রতিবাদ

রাজশাহী: বৃষ্টির মধ্যে জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে আজ রাস্তায় নেমেছিলেন অধ্যক্ষ সালমা শাহাদাৎ। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর স্ত্রী এবং মাদারবক্স গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যক্ষ।

এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও তার সঙ্গে দেখা গেছে।

দেশব্যাপী শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার (৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে তিনি এক বিরল কর্মসূচি পালন করেন।

এর আগে শনিবার বেলা ১১টায় কোটা আন্দোলনে নিহতদের হত্যাকারীদের বিচার ও আটককৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ‘মায়েদের আয়োজনে’ রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে মানববন্ধনের একটি দেওয়া হয়েছিল অলিখিতভাবেই। 'মায়েদের আয়োজন' বা উদ্যোগে ডাকা এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও এমপি বিএনপির সিনিয়র নেতা মিজানুর রহমান মিনুর সহধর্মিণী সালমা শাহাদাতের। তবে আজ এ আয়োজনে সেভাবে কাউকে দেখা না গেলেও কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে সালমা শাহাদাৎ নিজেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অধ্যক্ষ সালমা শাহাদাৎ গায়ে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে এবং হাতে পতাকা নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে মানববন্ধন করতে মহনগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এলাকায় আসেন। তবে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা সেখান থেকে সালমা শাহাদাতকে সরে যেতে বলেন। এরপর তিনি পাশেই থাকা আরডিএ মার্কেটের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে সেখান থেকে চলে যান।  

অধ্যক্ষ সালমা শাহাদৎ বলেন, সারাদেশেই বহু কোমলমতি মেধাবী শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমারও সন্তান রয়েছে। মূলত আমি মা ও অভিভাবক হিসেবে বিবেকের তাড়নায় রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। আর যাতে কোন সন্তানের মায়ের বুক এভাবে খালি না হয় সেই দাবিতেই জিরোপয়েন্টে এসেছিলাম।

তিনি আরো বলেন, ঢাকার গাজীপুরে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। যে, আমার ছেলের বন্ধু। ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী ছিল। সে ড্রোন বানাতো। আরেক ছেলে মুগ্ধ। সেও অনেক সফল ফ্রিল্যান্সার। দুই ছেলের মতো অসংখ্য মেধাবীকে পাখির মতো গুলি করা হয়েছে। যা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য যাতে সব মায়েরা রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ জানাতেই আমি আজ রাস্তায় নেমেছিলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৪
এসএস/জেএইচ 


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।