ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে পুলিশ সদস্যদের মারধর, বক্স ও গাড়ি ভাঙচুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
বরিশালে পুলিশ সদস্যদের মারধর, বক্স ও গাড়ি ভাঙচুর

বরিশাল: বরিশালে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি গাড়ি ও পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে।

শনিবার (০৩ আগস্ট) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে বরিশাল নগরের চৌমাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কনস্টেবল সিফাত গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হামলার সময় গাড়িতে থাকা এএসআই নেয়ামত খান। এ দুজন ছাড়াও গাড়িতে কনস্টেবল হাসনাত, রিয়াজসহ পুলিশের ৪ সদস্য ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এএসআই নেয়ামত খান বলেন, পুলিশ সদস্যদের জন্য খাবার নিয়ে আমরা বরিশাল নগর থেকে বাবুগঞ্জের রহমতপুর বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলাম। পথে চৌমাথা এলাকায় পৌঁছালে দেখতে পাই আন্দোলকারীদের মিছিল। আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের গাড়িটি সড়কের পাশে চাপিয়ে দেন চালক। তবে কিছু ছাত্র আমাদের গাড়ি দেখে হইহুল্লোড় শুরু করলে গাড়িটি রেখেই চালক দৌড় দেন। তখন আমরা আটকা পড়ে গেলে কয়েকজন লোক আমাদের মারকাজ মসজিদের ভেতরে আশ্রয় দেন। এ সময় হামলায় আমাদের এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হলেও বাকিরা ঠিক আছি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্ররা বেলা সোয়া দুইটার দিকে কর্মসূচি শেষ ঘোষণা করে যে যার মতো চলে যাচ্ছিলেন।  আর ওই সময় পুলিশের গাড়িটি চৌমাথা এলাকায় এসে পৌঁছায়। অনেকে গাড়িটিকে ছাত্রদের মাঝে যেতে মানা করলেও তারা তা শোনেনি। পরে গাড়িটি ছাত্রদের মধ্যে চলে এলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গাড়িটি ভাঙচুর ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা মারকাজ মসজিদের ভেতর গিয়ে আশ্রয় নেন।

বিক্ষুব্ধরা গাড়িটি ভাঙচুর করার পর সেটিকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে সড়কের ওপর ফেলে আড়াআড়ি করে রাখেন। পাশাপাশি পাশে থাকা পুলিশ বক্সেও হামলা চালান। এ সময় বিক্ষুব্দরা ভাঙা গাড়ির ওপর উঠে পুলিশের পোশাক নিয়ে উল্লাস করেন।

ঘটনাস্থলে থাকা সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ধারণ করতে গেলে সেগুলো ডিলিট করে দেন আন্দোলনকারীরা। আর এসব কাজে যারা জড়িত ছিলেন তাদের মধ্যে স্থানীয় লোকজনই বেশি ছিল, ছাত্রদের উপস্থিতি তেমন একটা ছিল না।

এর আগে বেলা ১১টায় বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের মসজিদ গেটের সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ শুরু করেন বরিশালের শিক্ষার্থীরা। তারা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নথুল্লাবাদ গোলচত্বরে আসেন। পরে সেখানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচির কারণে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে মহাসড়ক ধরে নগরের চৌমাথা এলাকায় আসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৪
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।