ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেরপুর কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগ, পালিয়েছেন ৫২৭ বন্দী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৪
শেরপুর কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগ, পালিয়েছেন ৫২৭ বন্দী

শেরপুর: শেরপুরে জেলা কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় জেলা কারাগারে আটক থাকা ৫২৭ বন্দির সবাই পালিয়ে গেছেন।

 

সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া সকাল থেকেই সরকারি-বেসরকারি অফিস-স্থাপনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।

জানা গেছে, রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে প্রশাসনের গাড়িচাপায় ও গুলিতে পাঁচজন নিহতের পর শেরপুর জেলা শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা আগুন দেয় আনসার অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকেই শেরপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।  

একপর্যায়ে শেরপুর সদর থানা, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের ডরমিটরি, শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, আওয়ামী লীগ অফিস, শেরপুর-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানুর বাড়ি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানের বাড়ি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, সাধারণ সম্পাদক নাসরিন বেগমের বাড়িসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। পরে বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়ে শেরপুর শহরে আনন্দ মিছিল শুরু হয়।  

এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। পরে কারাগারের প্রধান গেট ভেঙে ভেতরে লুটপাট চালায় তারা। এ সময় কারাগারে থাকা ৫২৭ জন আসামি পালিয়ে যান।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আব্দুল্লাহ আল খায়রুম কারাগারে ভাঙচুর, লুটপাট ও বন্দী পলায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা কারাগারে দুর্বৃত্তরা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। এসময় সব আসামি পালিয়ে গেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।