ঢাকা: সব ধরনের অফিস-আদালত চালু হলেও এখনো চালু হয়নি সারা দেশের ট্রেন চলাচল। কবে ট্রেন চালু হবে তার কোনো নির্দেশনাও আসেনি এখনো।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় ২০ দিন ধরে বন্ধ থাকা মেট্রোরেল চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
কোম্পানিটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেল চালুর জন্য কাজ করা হচ্ছে। চূড়ান্তভাবে সিস্টেম, কারিগরি দিক ও নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চেষ্টা চলছে যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের ভোগান্তি কমাতে মেট্রোরেল চালু করা যায়। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই মেট্রোরেল চালুর। সব ঠিক থাকলে মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্তই চালানো হবে মেট্রো।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি স্টেশন বাদে সবগুলো স্টেশনেই মেট্রো থামানো হবে। ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনও দ্রুত মেরামত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেল চালুর ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সরকার কারফিউ জারির পর গত ১৯ জুলাই থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয় ট্রেন চলাচল। ১৩ দিন পর গত ১ আগস্ট থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু করে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথমদিন ফের বন্ধ করা হয় ট্রেন চলাচল।
এদিকে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খান এক বার্তায় জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে সারা দেশের ট্রেন চলাচল।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, ট্রেন চালানোর জন্য কোনো নির্দেশনা তারা পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২৪
এনবি/এসআরএস