ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চেয়াম্যানের অপসারণ দাবিতে এনবিআরে বিক্ষোভ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৪
চেয়াম্যানের অপসারণ দাবিতে এনবিআরে বিক্ষোভ

ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের শান্ত করল সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় রাজস্ব ভবনে এমন ঘটনা ঘটে।

বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা জানান, ভীতিপ্রদর্শন, নিয়োগে অনিয়ম, বদলি-পদায়ন ও পদোন্নতি বাণিজ্য, অবসরকালীন সুবিধা বঞ্চিত করা, পাচার ও লুণ্ঠনে সহায়তাসহ নানা অনিয়মে জড়িত দায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের পদত্যাগের দাবিতে আমরা এনবিআর ভবনে অবস্থান নেই। রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই বিক্ষোভ করি। এ সময়  ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডের বঞ্চিত কর্মচারীদের উপস্থিতিতে এনবিআর ভবন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর চারটি গাড়ি এনবিআর ভবনে প্রবেশ করে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এনবিআরের কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশ বর্তমানে একটি জটিল পরিস্থিতি পার করছে। এ মুহূর্তে যেকোনো ধরনের আন্দোলন পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে। আপনারা আপনাদের যাবতীয় দাবি লিখিতভাবে আমাদের কাছে দেন। আমরা তা যথাস্থানে পৌঁছে দেব। ’

এরপরও বিক্ষোভকারীরা অবস্থান করছিলেন। পরে কর অঞ্চল-৬ এর কমিশনার লুৎফুল আজিম উপস্থিত কর্মীদের শান্ত হতে বললে তারা স্থান ত্যাগ করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে সংস্থাটির ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা। দাবিগুলো হলো, প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে এনবিআরে পদায়ন না করা, আয়কর অথবা কাস্টমস ক্যাডার থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ, দুই বছর পর বদলি বাণিজ্য বন্ধ করা, অবৈধ নিয়োগ ও আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ বাতিল, পদায়নে জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা ও আইন অনুসরণ, শূন্য পদে পদোন্নতি ও কোনো পদ খালি না রাখা, অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে ও আয়কর অনুবিভাগের সিদ্ধান্ত শুধু আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর থেকে আর্থিক খাতের সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাবেক সরকারের অনুগত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভে নামে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই সাথে যুক্ত হয় আগে থেকে পঞ্জিভূত নানা বঞ্চনা ও দাবি-দাওয়া। গত বুধবার বিক্ষোভের তোড়ে ডেপুটি গভর্নর ও উপদেষ্টারা বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়তে বাধ্য হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।