ঢাকা, শনিবার, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩১, ১০ আগস্ট ২০২৪, ০৪ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

লুট হওয়া প্রায় ৭ লাখ টাকা পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দিলেন এলাকাবাসী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৪
লুট হওয়া প্রায় ৭ লাখ টাকা পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দিলেন এলাকাবাসী

ব‌রিশাল: বিক্ষুব্ধ জনতার মাধ্যমে লুট হয়ে যাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী।

শুক্রবার (০৯ আগস্ট) রাতে বরিশাল নগরের ৭ নম্বর পলাশপুর এলাকা থেকে এসব উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এসব টাকা ও জিনিসপত্র বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহর বাসা থেকে লুট করা হয়েছিল।

জানা গেছে, শুক্রবার রাতে বরিশাল নগরের ৭ নম্বর পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা ও ফল ব্যবসায়ী জামাল খানের বাসা থেকে টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল সেটও উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা পুতুল ও রাজিব সর্দার জানান, জামাল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসায় যাতায়াত ছিল। সরকার পতনের পর গত ০৫ আগস্ট সাদিক আব্দুল্লাহর বাসায় হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আর ওই সময় জামাল একটি স্কুল ব্যাগ নিয়ে বাসায় আসেন। এর দুইদিন পর জামালকে অনেক টাকা গণনা করতে দেখেন তার স্বজনরা। এরপরই বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পারেন।

সেই সঙ্গে জামালের আচরণেও পরিবর্তন দেখা দেয়। পরবর্তীতে জামালের সন্ধান না পেয়ে তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। যেগুলো সেনাবাহিনীর সহায়তায় কাউনিয়া থানায় জমা দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী জানান, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহর বাসা থেকে স্কুল ব্যাগ ভর্তি করে বিপুল পরিমাণে টাকা লুট করেছে জামাল। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে যাওয়ায় সে কয়েক লাখ টাকা বাসায় রেখে বাকি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। তবে জামাল পালিয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কাউনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত জানান, আইয়ুব আলী নামে একজনের মাধ্যমে টাকাগুলো থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা এলাকাবাসী উদ্ধার করে থানায় দিয়েছেন। এ সময় লুটের অভিযোগে অভিযুক্ত জামালের বাবা কাইউম খানও তাদের সঙ্গে আসেন। কাইউম খান জানিয়েছেন, তার বাসায় ওই টাকা ছিল। তার ছেলে বাসা ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি কত টাকা নিয়ে পালিয়েছে তা তার জানা নেই। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৪
এমএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।