গোয়ালন্দ(রাজবাড়ী): রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থেকে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ রেলপথে চলাচলকারী শাটল ট্রেনটি দীর্ঘদিন ধরে জোড়াতালি দিয়ে চলছে।
নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত এ ট্রেনের যাতায়াতকারীরা যাত্রীসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে চলাচলকারী এ ট্রেনটির যাত্রীসেবার মানউন্নয়নে বিগত কয়েক বছর ধরে সরকার বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়। শর্ত অনুযায়ী ট্রেনটি চালানোর জন্য ৬টি বগিতে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র সরবরাহ করার কথা ইজারাদারের।
সে মোতাবেক চলতি অর্থ বছরের মেসার্স বান্না এন্টারপ্রাইজকে ইজারা দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ২০ হাজার টাকা ভাড়া হিসেবে ৬টি বগি ভেতরের সবকিছু ঠিকঠাক করে সরবরাহ করার চুক্তি করা হয়। কিন্তু ইজারাদার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে মাত্র ৫টি বগিতে জোড়াতালি দিয়ে বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি মেরামত করে সরবরাহ করে। ফলে একটি কম বগিতে নষ্ট পাখা-বাতি নিয়ে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
স্বল্প বগিতে অতিরিক্ত যাত্রীরা ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করলেও নুন্যতম সেবা পাচ্ছে না ট্রেন থেকে। এ পথে চলাচলকারীরা অভিযোগ করেন, নির্ধারিত পরিমাণ ভাড়া আদায় করা হলেও যাত্রীদের জন্য কোনো সুবিধা বাড়ানো হয়নি। পাখা চলে না-বাতি জ্বলে না। সিটে জায়গা না থাকায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
শাটল ট্রেনের চালক শেখ আজিজুর রহমান বলেন, “১৯৮২ সালে আমদানি করা এই ট্রেনের ইঞ্জিনটির ১৫ বছরের চলাচলের নিশ্চয়তা ছিল। এর মেয়াদ শেষ হওয়ায় এখন ঘন ঘন বিকল হচ্ছে। ”
এ বিষয়ে ইজারাদার মেসার্স বান্না এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক মো. শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যুত উৎপাদনকারী ইঞ্জিন দূর্বল হওয়ায় ট্রেনটি খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। একই কারণে বাতি ও পাখা চালানো সমস্যা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১২
সম্পাদনা: শাফিক নেওয়াজ সোহান, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর