নোয়াখালী: নোয়াখালীতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানা থেকে লুট করা বিপুল সংখ্যক অস্ত্র, গুলি ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করেছেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে এসব অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য মালামাল আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নোয়াখালী জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয় থেকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, নোয়াখালী আর্মি ক্যাম্পের উপ-অধিনায়ক মেজর রিফাত আনোয়ারের কাছে এসব অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য মালামাল হস্তান্তর করেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ১৮ আনসার ব্যাটালিয়ন পরিচালক ও নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রোকসানা বেগম।
সোনাইমুড়ী থানার লুট হওয়া মালামালের মধ্যে পাওয়া গেছে- ৭.৬২ মি মি রাইফেল একটি, পিস্তল দুটি, পাইপ গান একটি, পিস্তলের গুলি ১১ রাউন্ড, ৭.৬২ মি মি রাইফেলের বুলেট ৬৩৫ রাউন্ড, রাবার কার্তুজ ৬৭টি, সিসা কার্তুজ ১২টি, হ্যান্ডকাফ তিন সেট, টিয়ারশেল সাতটি, সাউন্ড গ্রেনেড চারটি।
চাটখিল থানার লুট হওয়া মালামালের মধ্যে পাওয়া গেছে- শর্টগান পাঁচটি, ৭.৬২ মি মি এসএমজি একটি, সিসা কার্তুজ ২০টি, ৭.৬২ মি মি রাইফেলের বুলেট ১২০ রাউন্ড, ৭.৬২ মি মি এসএমজি ম্যাগজিন একটি, টিয়ারশেল তিনটি, হ্যান্ডকাপ চার সেট, ওয়ারলেস একটি, ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট একটি, ওয়াকি টকির ব্যাটারি একটি, হ্যান্ড মাইক একটি, ল্যাপটপ দুটি ও কিবোর্ড একটি।
এসময় আনসার ব্যাটালিয়নের নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রোকসানা বেগম বলেন, গত ৫ আগস্ট চাটখিল ও সোনাইমুড়ি থানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করেন। উদ্ধার অভিযান চলবে।
পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন থানা পাহারা, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোসহ এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৪
এসআই