ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে ভোক্তা অধিকার সঙ্গে নিয়ে বাজার মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৪
বাগেরহাটে ভোক্তা অধিকার সঙ্গে নিয়ে বাজার মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীরা

বাগেরহাট: সরবরাহ বৃদ্ধি ও দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বাগেরহাটে সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম কমেছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস ও মসলার দাম।

 

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে শহরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫-৬০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আদাসহ বিভিন্ন প্রকার মসলা এবং গরু, খাসি, মুরগি, ব্রয়লারের দাম আগের মতোই আছে। মাছের দামও কমেছে বেশ। তবে এই দামও নাগালের বাইরে বলে দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।

বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা, বেগুন, করলা, ঢেড়স, কাঁকরোল ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০, ঝিঙে ৫০, মিস্টি কুমড়া ও পটল ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৭০-৮০ টাকা পিসের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে, কমেছে চাল কুমড়ার দামও। প্রতি পিস চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ২৫-৪০ টাকা পর্যন্ত। বাগেরহাটের বাজারে কমেছে মাছের দামও। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১শ থেকে ১৩শ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১৫শ থেকে ১৬শ টাকায়। ৩-৫টায় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। কমেছে পাতারি, টেংরা, ফাইস্যা, চিংড়িসহ বিভিন্ন ধরনের মাছের দাম। সব থেকে কম ১৮০-২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছ।

এদিকে গরু, মুরগি ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে পূর্বের দামেই। প্রতি কেজি গরু ৭৫০, খাসি ১ হাজার এবং মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-৮০ টাকা করে। মসলার দাম কমেনি একটুও। পেঁয়াজ ১১০, রসুন ২০০, মরিচ ৪০০, মরিচের গুড়া ৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম বেড়েছে কেজি ২ টাকা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। ৪২-৪৩ টাকার স্বর্ণা বুলেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকায়, চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে জাত ভেদে ৫৮-৯০ টাকা পর্যন্ত। ৬৫ টাকা কেজির দেশি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজিতে।

এদিকে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  

এদিন সকাল ১১টা থেকে শিক্ষার্থীদের বাজারের বিভিন্ন পাইকারি খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে দোকানে ক্রয় ও বিক্রয় ভাউচার চেক করতে দেখা যায়। পণ্যের গুণগত মান যাচাই এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সেটির তদারকি করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা ঝুলিয়ে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে স্বাদুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

ছালেক শেখ নামে এক ভ্যানচালক বলেন, সবজি, চাল, মাছ, মাংস সবকিছুর দাম এত বেশি যে কিনে খাওয়ার উপায় নেই। আর দাম বাড়ে ১০০ টাকা কমে ১০ টাকা। দ্রব্যমূল্য কমাতে শিক্ষার্থীরা যে বাজার মনিটরিং করছেন, তাতে আমরা খুব খুশি হয়েছি। এভাবে নিয়মিত মনিটরিং করলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করি।

মনিটরিং কাজে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, বাজারে অনেক অসংগতি রয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এসব সমস্যার  সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।  

ভোক্তা অধিদপ্তর বাগেরহাট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা বাজার মনিটরিং করছি। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের আমরা সচেতন করছি। কেউ যদি সিন্ডিকেট বা কারসাজি করে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের মনিটরিং ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।