ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের কটূক্তি, জবির সেই শিক্ষিকাকে শোকজ 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের কটূক্তি, জবির সেই শিক্ষিকাকে শোকজ 

জবি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্যে অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা কামরুন্নাহার লিপিকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এ টি এম শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তার বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে সাত কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্রদের হেয় প্রতিপন্ন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে পোস্ট বা মতামত ব্যক্ত করেছেন তা বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে মনে হওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের তথা বিশ্ববিদ্যালয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন  হওয়ায় এহেন কাজ অসদাচরণের সামিল।  

স্ট্যাটাসসমূহ নিম্নরূপ

‘একজন সুইপার এই কাজটি আরও সুনিপুণ ভাবে করতে পারে। দেশ গড়া অন্য বিষয়। ’ 

‘বেশি হয়ে যাচ্ছে। কঠিন হস্তে দমন করা জরুরি। এটা এখন আর কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ’ 

‘কেউ আমাকে সুশীল বা নিরপেক্ষ ভেবে থাকলে ভুল ভেবেছেন। যারা নিজেদের স্বঘোষিত রাজাকার দাবি করে জনসম্মুখে মিছিল করেছেন, আমি তদের চরম প্রতিপক্ষ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমার সন্তান। তাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য আমি জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত, সেই সাথে যে সকল শিক্ষকেরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন-মৃত্যুর মাঝামাঝি ঠেলে দিচ্ছেন তাদের প্রতি একরাশ করুণা। ’

‘সারা বাংলা খবর দে, ১ দফার কবর দে, ১ দফা বলিস না, নিজের কপাল পুড়াইস না। ’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া উপর্যুক্ত স্ট্যাটাস বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে মনে হওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ্ন হওয়ায় তার এ কাজ অসদাচরণের সামিল বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।  

চিঠিতে আরো বলা হয়, এই কর্মকাণ্ড ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২(খ) বিবি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫ এর ৪৪(৬) অনুচ্ছেদ মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এর আওতাভুক্ত।

এর আগে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এক বৈঠকে এ শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা।  

এদিকে শিক্ষার্থীদের সংসদ ভবন পরিষ্কারের ছবি পোস্ট করে ‘একজন সুইপার এই কাজটি আরো সুনিপুণ ভাবে করতে পারে, দেশ পড়া অন্য বিষয়!’ বলে দেয়া বিতর্কিত ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে আরো বলেন, যে পোস্টের কথা বলা হচ্ছে সেটা আমি দেইনি। আমার আইডি ক্লোন হতে পারে। কেউ যদি আমার আইডি ক্লোন করে এসব করে তাহলে আমার কি করব? এমনিতে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৭ ঘণ্টা,আগস্ট ১৫,২০২৪
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।