ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গায়ে হাত তোলা বিবস্ত্র করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন: সারজিস

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৪
গায়ে হাত তোলা বিবস্ত্র করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন: সারজিস সংবাদসম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম

ঢাকা: ১৫ আগস্টের শোক জানাতে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে আসা আওয়ামী লীগের লোকজনকে কানে ধরে উঠবস করানো, বিবস্ত্র করা থেকে গায়ে হাত তোলার  ঘটনা ঘটেছে।

বিষয়টি নিয়ে যখন সমালোচনা চলছে তখন মুখ খুললেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

তিনি বলেছেন, ‘মানুষকে বিবস্ত্র করা থেকে গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনাগুলো যারা ঘটিয়েছে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এগুলো কোনোভাবেই আইনসঙ্গত নয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে যা করা প্রয়োজন, একটি প্রেসার গ্রুপ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সেই কাজটি করবে। আমাদের যে দুজন ছাত্র-প্রতিনিধি অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, তাদের মাধ্যমে যেভাবে বিচার নিশ্চিত করা যায়, আমরা সেই কাজটি করব। ’

আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  

দীর্ঘ আধাঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনে গতকাল ১৫ আগস্ট ঘিরে ঘটে যাওয়া নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন সারজিস।  

তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে মতিঝিল হেফাজতের সমাবেশে অসংখ্য আলেম-ওলামাকে কান ধরে উঠবস করিয়েছে। তেমনি যদি কেউ করে সেটা আমরা সমর্থন করব না। আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট বার্তা, ১৫ আগস্টে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে কেউ ফুল দিয়ে তার শোক পালন করতে চায়, আমরা আমাদের জায়গা থেকে তাকে বাধা দিতে পারি না। ’

সারজিস বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে যাদের অবদান অনস্বীকার্য তাদেরকে স্মরণ করতে হবে। শেখ মুজিবুর রহমানের যতটুকু সম্মান প্রাপ্য, তা তাকে দিতে হবে; একইভাবে জিয়াউর রহমানের যে সম্মান প্রাপ্য, তাকে তা দিতে হবে। তার কাজের সমালোচনা আপনি করতে পারেন, তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে করা যাবে না। ’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে যখন যে ক্ষমতায় এসেছে, তখন শুধু তার সুপ্রিম মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে, বাকিদের শ্রদ্ধা জানানো দূরের কথা, উল্টো ছোট করা হয়েছে। যার যতটুকু সম্মান প্রাপ্য, ইতিহাসে যে জায়গাটুকু তারা ধারণ করেন, তা তাদের দেওয়া হয়নি। ’

এ সমন্বয়ক বলেন, ‘বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ধানমন্ডি ৩২-এ গিয়েছিলেন। তার গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর হয়েছে। কেন? তিনি যদি ওই রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করেন, তিনি সেখানে ফুল নিয়ে যেতে পারেন, আমরা বাধা দিতে পারি না। বরং আমরা যদি মনে করি, তিনি যে রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করেন, যে ব্যক্তিকে তিনি অনুসরণ করেন, তিনি অনুসরণযোগ্য নন, আমরা তাকে বয়কট করতে পারি। ’

সারজিস স্পষ্ট করে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ ধরনের কোনো কিছুকে প্রমোটই করে না যে কেউ একজন কোনো একটি হোস্টেলে গিয়ে সার্চ করবে, কোনো একটি আবাসিক হোটেলে যাবে, কোনো একজন অধ্যাপককে জোর করে নামিয়ে দেবে। আমরা এগুলো সমর্থন করি না। আমরা কোনো অথরিটি নই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।